কওমি মাদ্রাসা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি ইসলামী ফ্রন্টের

কওমি মাদ্রাসা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি ইসলামী ফ্রন্টের

অনলাইন ডেস্ক

কওমি মাদ্রাসা সরকারি স্বীকৃতি ভোগ করে সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে কাজ করছে। তারা অতিমাত্রায় সরকারি সুবিধা গ্রহণের ফলে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণে উৎসাহী হয়েছে। অনতিবিলম্বে তাদেরকে একই সিলেবাসভুক্ত করে সরকারি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা দেশের এমপিওভুক্ত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা নীতিমালা তৈরি করা হলেও কওমি মাদ্রাসাগুলোর এর আওতায় না থাকার কথা তুলে ধরেন।

হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স. ম আবদু সামাদ বলেন, নৈতিক স্খলন জঙ্গিবাদে কর্মকাণ্ডে যুক্ত হেফাজতকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের কমিটি বিলুপ্ত বা নতুন করে কমিটি করে ইতোপূর্বে সংগঠিত জঙ্গিবাদ অপরাধকে মার্জনা করা যাবে না।

আর ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থাকে একই স্রোতে আনার পাশাপাশি কওমি সনদ বাতিলের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন জঙ্গিবাদের অভিযোগও তোলেন হেফাজতের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, এ দেশের মধ্যে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হতে পারে, মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি হতে পারে, যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এ কারণে আমরা মনে করছি, একটা দেশের মধ্যে দুই ধরনের ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা থাকতে পারে না।

ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা আরও বলেন, সম্প্রতি কওমি মাদ্রাসা বোর্ড হতে তাদের নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসাগুলোতে রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে যে ঘোষণা এসেছে, তা অনেকটা জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল। যতদিন এ ধারার মাদ্রাসাগুলো রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসবে না ততদিন তারা একের পর এক ভিন্ন নামে, ভিন্ন কর্মসূচিকে সামনে এনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যাবে। তাই কওমি মাদ্রাসাকে অডিটের মধ্যে এনে অবিলম্বে সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান এমএ মান্নান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ, সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আহমদ হোসাইন আল কাদেরী, অধ্যক্ষ শাহ খলিলুর রহমান নিজামী, শাইখ আবু সুফিয়ান খান আবেদী, রেজাউল করিম তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসাইন, মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, ওবাইদুল মুস্তফা কদমরসুলী, আব্দুন নবী আল কাদেরী, মাওলানা ফেরদৌসুল আলম খান, মাওলানা আবদুল খালেক, অধ্যক্ষ হাফেজ আহমদ কাদেরী, নাসির উদ্দীন মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/আলী