বাগানের গোলাপ তার সৌন্দর্যে বিভোর। পাশে থাকা ক্যাকটাস তার সহ্য নয়। ক্যাকটাসকে সে তার অনুপোযুক্ত প্রতিবেশী মনে করে। ক্যাকটাসের পাশেই কেন তাকে থাকতে হলো, এ নিয়ে গোলাপের খুব ক্ষোভ-দুঃখ! না রঙে, না গন্ধে-কোন কিছুতেই ক্যাকটাস তো তার সাথে মানায় না।
ক্যাকটাসও বেশ লজ্জায় থাকে এ নিয়ে। এভাবেই দিন যায়। তারপর আসে তীব্র গরম। প্রচণ্ড উত্তাপে, মাটি শুকায়।
গোলাপের প্রাণ ওষ্ঠাগত! পানির অভাবে পাপড়ি শুকায়। রঙ মুছে যায়। গন্ধ যায় উবে। অথচ, সেই দাবদাহে ক্যাকটাসের গা খুঁচিয়ে পাখি তার চঞ্চু ঢুকায়। তৃষ্ণা মেটায়। সে দেখে মৃতপ্রায় গোলাপ বিস্মিত হয়। যে ক্যাকটাসকে সে কন্টকাকীর্ণ, রুক্ষ, অমসৃণ ভেবে অবহেলা করেছিলো-সে ক্যাকটাসের কাছেই পানির জন্য হাত বাড়ায়।
চট্টগ্রামে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
ইসরায়েলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহত ৩৮
গোলাপ বুঝতে পারে, কোন কিছুর চেহারা দেখেই সেটাকে বিচার করা ঠিক না। Never judge anyone by the way they look!
মানুষকে তার চেহারা দেখে বিচার করো না। তার বাহ্যিকটা দেখে, যাচ্ছেতাই ভেবো না। হয়তো সে বাহ্যত গোলাপের মতো নয়। অন্তরে তার কোমলতা, জল-সিক্ত রয়।
রউফুল আলম, নিউজার্সি, যুক্তরাষ্ট্র।
news24bd.tv নাজিম