সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার পর শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ্বন্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অরুণাথ চক্রবর্ত্তী এ আদেশ দেন।
ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামির নাম রফিকুল ইসলাম শিপন ওরফে আলমগীর। তিনি সদর উপজেলার ধুলিহর ব্রক্ষ্মরাজপুর এলাকার অজেদ আলীর ছেলে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, আসামি শিপন ওরফে আলমগীর ২০০৯ সালের প্রথম দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের হেকমত শেখকে পালিত পিতা বানিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন। পরে ওই এলাকায় গাছ ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ১৩ সেপ্টেম্বর শিপন ওরফে আলমগীর একই উপজেলার মুড়াগাছা এলাকায় গাছ ক্রয় করার সুবাদে আকবর আলী মোড়লের বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন। গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে আকবর আলীর মেয়ে সালমা খাতুন খুকু বাইরে আসলে আলমগীর তাকে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করেন।
পুলিশ এ মামলায় শিপন ওরফে আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইলটিও উদ্ধার করে। পরে আসামি হত্যার ঘটনা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেন পুলিশের কাছে। এ মামলায় আসামি দীর্ঘদিন উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন।
মামলার নথি ও ১৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে আদালতে বিচারক আজ মঙ্গলবার দুপুরে জণাকীর্ণ আদালতে মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম শিপন ওরফে আলমগীরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ্বন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি সাতক্ষীরা জজকোর্টের অতিরিক্ত পিপি তপন কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)