১২ ও ১৪ বছরের নিজের দুই মেয়েকে ধর্ষণ করেন এক বাবা! শুধু ধর্ষণ করেই ক্রান্ত হননি তিনি। একবার ধর্ষণের পর আবারও করেছেন অন্য মেয়েকে ধর্ষণ। দুই কিশোরী কন্যকে পর্ণ ভিডিও দেখিয়ে চালাতের তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন। এরপর করতেন সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ।
অবশেষে বিচারের আশায় মুখ খুললেন সেই দুই মেয়ে তাদের সেই পাশবিক বাবার বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে ৩০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১৫ বার চাবুক মারারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার ব্রুনেইয়ের হাইকোর্ট এই রায় দেন।
জুডিশিয়াল কমিশনার আব্দুল্লাহ সোয়েফরি বলেন, সরকারি কৌঁসুলিরা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে ভুক্তভোগীদের সুরক্ষার কথা ভেবে ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি আদালত। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছিল।
সরকারি কৌঁসুলি আতিয়াহ বিনতি আবাস জানান, সাক্ষ্যপ্রমাণের মধ্যে ওই দুই কিশোরীর জবানবন্দিও রয়েছে। মূলত ওই জবানবন্দির প্রেক্ষিতেই দুই কিশোরীর বাবাকে এই সাজা দেয়া হয়। সরকারি কৌঁসুলি জানান, ২০১৭ সালে ওই সময় তার ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে দুইবার ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।
পরে ২০১৮ সালে এক রাতে আবারও তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি। এসময় তার মেয়েকে পর্ন ভিডিও দেখান তিনি। পরে নোংরা ভিডিও তৈরি করেন ওই ব্যক্তি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে আবারও নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি।
একই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নিজের আরেক মেয়েকেও ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি। তখন তার ওই মেয়ের বয়স ছিল ১২ বছর। ২০১৯ সালের জুন ও আগস্ট মাসে আরও দুইবার তাকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। এ ঘটনায় আদালতের কাছে কঠোর সাজার আবেদন জানান সরকারি কৌঁসুলি।
এই অভিযোগে তাকে ৩০ বছর কারাদণ্ড সাথে ১৫ বার চাবুক মারারও নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।
news24bd.tv/আলী