নিয়মিত হচ্ছে না জাতীয় সংসদের মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিগুলোর বৈঠক। এ কারণে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ চলছে ধীর গতিতে। কমেছে জবাবদিহিতাও। প্রশাসনের জবাব দিহি বাড়াতে এবং দুর্নীতির লাগাম টানতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকগুলো নিয়মিত করার আহবান বিশ্লেষকদের।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করে টানা তৃতীয় বারের মত ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদের অধিবেশন শুরু হয় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারী। শুরুর ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৫০ টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়। দ্রুততার সঙ্গে কমিটি গঠন হলেও কাজের ক্ষেত্রে ততটা তৎপরতা দেখা যায়নি।
২০২৯ সালের জানুয়ারী থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সিডিউল অনুযায়ী প্রতিটি কমিটির কমপক্ষে ২৫ টি বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও গতবছরের মার্চের পর করোনা সংক্রমেনর আশঙ্কায় বৈঠকে বসা থেকে বিরত থাকে কয়েকটি কমেটি। তবে ব্যতিক্রম ছিল ছয়টি কমিটি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৬ টি বৈঠক করে সরকারী হিসাব সংক্রান্ত কমিটি।
করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে, সংসদ অধিবেশন হয়েছে সীমিতি পর্যায়ে। সদস্যদের উপস্থিতিও ছিল সীমিত। এসময় অনলাইন প্লাটফর্মে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও, কার্যপ্রনালী বিধির বাধ্যবাধকতার কারণে সংসদীয় কমিটর বৈঠক করা সম্ভব হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন সংসদীয় কমিটিগুলো কার্যকর ভূমিকা পালন না করতে পারলে সরকারী কাজে দুর্নীতির আশঙ্কা বাড়বে, বাড়বে অর্থের অপচয়। আর সেক্ষেত্রে জনগণকে দেয়া সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কঠিন হবে।
news24bd.tv/আলী