অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী ছেলেকে আটক কাণ্ডে সেই এএসআই বরখাস্ত

অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী ছেলেকে আটক কাণ্ডে সেই এএসআই বরখাস্ত

Other

সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা গ্রামে অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী ছেলেকে আটক কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুভাষ চন্দ্রকে সাময়কি বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম (বার) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খানকে ওই কমিটির প্রধান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


অক্সিজেনের অভাবে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম  রজব আলী মোড়ল (৬৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের বাসিন্দা।  

এ বিষয়ে রজব আলীর ছেলে ওলিউল ইসলাম জানান, কয়েক দিন ধরে করোনা উপসর্গসহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসা বাড়িতে নিচ্ছিলেন তাঁর বাবা।

বাড়িতেই সিলিন্ডার থেকে তার বাবাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল। পরে এটি খালি হয়ে যায়। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে মোটরসাইকেলে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকায় খালি সিলিন্ডার নিয়ে অক্সিজেন আনতে যাচ্ছিলেন। পথে ইটাগাছা হাটের মোড়ে পৌঁছালে তাঁকে থামান ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুভাষ চন্দ্র সরদার ।

রজব আলীর ছেলে ওলিউল ইসলাম আরও বলেন, মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চেয়ে সুভাষ চন্দ্র তার কাছ থেকে চাবি নিয়ে নেন। তিনি তখন তাকে তার বাবা অসুস্থ, অক্সিজেন নিতে তাড়াহুড়া করে সাতক্ষীরা এসেছেন এবং এ কারণে কাগজ আনতে ভুলে গেছেন বলে জানান। তারপরও মোটরসাইকেল না ছেড়ে নানাভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে এএসআই সুভাষ চন্দ্র ৫০০ টাকা দিলে মোটরসাইকেল ছেড়ে দেবেন বলে জানান। দাবি করা টাকা দিতে না পারায় তাকে প্রায় দেড় ঘণ্টা  সেখানে আটকে রাখা হয়। পরে একজনের মধ্যস্থতায় ২০০ টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর তিনি বাড়ি ফিরে অক্সিজেন দেওয়ার আগেই তার বাবা মারা যান।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, যদি সময়মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে পৌঁছাতে পারতাম, তাহলে হয়তো বাবাকে বাঁচানো যেত। তিনি এই  ঘটনার বিচার দাবি করেন।

 মোটরসাইকেল আটক রেখে কালক্ষেপণ করার অভিযোগ অস্বীকার করে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক সুভাষচন্দ্র সরদার  বলেন, বেপরোয়া গতিতে আসছিল মোটরসাইকেলটি। কাগজপত্রও ছিল না। পরে ঘটনা শুনে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মাত্র ৩-৪ মিনিট মোটরসাইকেলটি থামিয়ে রাখা হয়েছিল।

আরও পড়ুন:


একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তফা মারা গেছেন

নারায়ণগঞ্জে হাসেম ফুডসে অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ ৭০

তাসকিনের চমৎকার ব্যাটিংয়ের নেপথ্যে যিনি

অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার পাশে ইউএনও

জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কাম্য নয়: ড. কামাল


এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে অক্সিজেন নিতে আসা ছেলের মোটরসাইকেলটি এএসআই সুভাষ চন্দ্র ৩-৪ মিনিট নয়, কিছুক্ষণ আটকে রেখেছিলেন। বিষয়টির অধিকতর তদন্ত শুরু হয়েছে।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, অপরাধী যে-ই হোক ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যেই সুভাষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

# অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ ছেলেকে আটকে রাখলো এএসআই, মারা গেলেন বাবা

news24bd.tv নাজিম