করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য খাতেরই চিকিৎসা প্রয়োজন : আ স ম রব

করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য খাতেরই চিকিৎসা প্রয়োজন : আ স ম রব

অনলাইন ডেস্ক

করোনা মোকাবেলায় অদক্ষ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও পরিকল্পনাহীন অদুরদর্শী স্বাস্থ্য খাতেরই চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাত দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সুতরাং স্বাস্থ্য খাতের চিকিৎসা তথা কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া করোনা নিয়ন্ত্রণসহ গণমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

বুধবার ২১ জুলাই কর্নেল তাহের দিবস উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জেএসডি) কর্তৃক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে আ স ম আবদুর রব এসব কথা বলেন।

তাহের দিবস উপলক্ষে কর্নেল তাহের স্মরণে জেএসডি আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভা বুধবার রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশে বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের দ্রুত টিকা কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এতে মৃত্যু সংখ্যা হ্রাস পায়। কিন্তু আমাদের দেশে সরকার সর্বাগ্রে বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ সকল নাগরিককে টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত না করে শুধু বয়স কমিয়ে আনার ঘোষণা কেবল চমক সৃষ্টির সহায়ক হতে পারে মাত্র, এতে মূল সঙ্কট আরো জটিল হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটির মাঝে ১৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ টিকা পাওয়ার অধিকারী। প্রতিজনকে দুই ডোজ করে টিকা দিতে হলে ২৬ কোটি ৬০ লাখ টিকার প্রয়োজন। আর সরকার আজ পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পেরেছে মাত্র দুই কোটি ডোজ টিকা। সুতরাং টিকা ক্রয়, সংগ্রহ, প্রাপ্তি এবং বিতরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে শুধুমাত্র দুদিন পর পর বয়স কমানোর ঘোষণা সরকারের চূড়ান্ত পরিকল্পনাহীনতার অংশ।  

সরকার যখন জনসংখ্যার ৮০% মানুষকে টিকা কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তখন অবশ্যই ধরে নেয়া যায় প্রাপ্যতা অনুযায়ী সকল নাগরিককে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। টিকা প্রাপ্তি, সংগ্রহ ও বিতরণের সাথে অবশ্যই অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে।

আসম রব বলেন, ঘুণে ধরা উপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন করে জনগণের অংশগ্রহণ ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন এর মধ্য দিয়ে কর্নেল তাহেরের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে।

স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক জনাব আ স ম আবদুর রব এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সা কা ম আনিছুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক জনাব শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, স্থায়ী কমিটির সদস্য  অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান মাস্টার, বাবু হিরালাল চক্রবর্তী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. জবিউল হোসেন, এস এম আনসার উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, লোকমান হাকিম।


দ. কোরিয়ার কোন গালিও দেয়া চলবে না উত্তর কোরিয়ায়

তালেবানের হাত থেকে ২৪ জেলা পুনরুদ্ধারের দাবি

কাছাকাছি আসা ঠেকাতে টোকিও অলিম্পিকে বিশেষ ব্যবস্থা


আরো বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, আমিন উদ্দিন বিএসসি, মাস্টার আমির উদ্দিন, ছরওয়ার আজম আরজু, অ্যাডভোকেট সৈয়দা ফাতেমা হেনা, অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট মিয়া হোসেন, ব্যারিস্টার ফারাহ খান, শামসু উদ্দিন আহমেদ শামীম, শ্রী নীল রতন মিস্ত্রি, হাজী আখতার হোসেন ভুইয়া, মোশাররফ হোসেন, আজম খান, অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মজুমদার, অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান, আবদুল মোতালেব মাষ্টার, ইলোরা খাতুন সোমা, মিতা ইসলাম, সৈয়দ তারিকুল আনোয়ার প্রমুখ।

news24bd.tv/আলী