শেরপুরের নকলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমানের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। ২৫ জুলাই রোববার রাতে বাল্যবিয়ের কাজ পরিচালনা করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ে বর ও কনের বাবাকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, নকলা ইউনিয়নের ছত্রকোনা গ্রামের মো. আব্দুল হাইয়ের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে পার্শ্ববর্তী উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের মো. ছাহের আলীর ছেলে মোবাইল ব্যবসায়ী মো. খলিলুর রহমানের সাথে বিয়ের আয়োজন চলছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে নকলার ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুর রহমান কনের বাবা মো. আব্দুল হাইয়ের বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম বিয়ে বাড়িতে পৌঁছার আগেই বরযাত্রীদের খাওয়ানোসহ বিয়ের বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যায়।
আদালত পরিচালনাকালে নকলা থানা পুলিশসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও জাহিদুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে নকলাকে জেলার প্রথম বাল্যবিয়ে মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই এ উপজেলায় বাল্যবিয়ে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। নকলা উপজেলায় বাল্যবিবাহের কোনো ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক, বর, আয়োজক ও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এক্ষেত্রে আইনিভাবে কোনো প্রকার আপোষ নেই। বাল্যবিবাহ নিরোধ ও বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগসহ বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটির সংশ্লিষ্টরা সদা তৎপর রয়েছেন বলেও জানান তিনি।