এমএলএম ই-কমার্সের নামে গ্রাহকের পকেট থেকে গেছে ১৭ হাজার কোটি টাকা

Other

দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সময় এমএলএম ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো হাতিয়ে নিয়েছে গ্রাহকের ১৭ হাজার কোটি টাকা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও গ্রাহকের পকেট এখনও শূণ্য।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ই-কমার্স ব্যবসার নামে এ পর্যন্ত দেশে যা হয়ে আসছে তার সিংহ ভাগই প্রতারণা। শুধু গ্রেপ্তার নয় গ্রাহকের অর্থ ফেরত সহ প্রয়োজন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বলছে টিআইবি।

২০০৬ সালে এমএলএম কোম্পানী যুবক হাতিয়ে নিয়েছে গ্রাহকের ২৬শ কোটি টাকা। একইভাবে ডেসটিনি ও ইউনিপেটুইউ নিয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালে ১১টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহকের পাওয়া ৩৩শ কোটি টাকার বেশি।

এই চিত্রই বলে দিচ্ছে বিভিন্ন লোভ লালসার ফাঁদে ফেলে গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বিপুল অংকের টাকা।

যার কোনটা এমএলএম কোম্পানী আধুনিক কালে বলা হচ্ছে ই-কামর্স মূল কাজটাই যেন অর্থ লোপাট।

২০২১ সালের বার্তাটা আরও ভয়াবহ। ইভ্যালি, ধামাকা, ই-অরেঞ্জসহ দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানের নামে অভিযোগ অর্থ আত্মসাতের। মাত্র ১১টি কোম্পানীর কাছে গ্রাহকের ৩৩১৭ কোটি টাকা। পুরো ব্যবসাই হয়েছে ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের নামে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে ই-কমার্সের নামে যা হয়েছে তার পুরোটাই প্রতারণা।

বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিক গ্রেপ্তার, তদন্ত চলমান ও গ্রাহকের পকেটে ফেরেন বিনোয়োগের অর্থ।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বলছে, শুধু গ্রেপ্তার নয় প্রয়োজন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সাথে ফেরাতে হবে গ্রাহকের অর্থও।

বিপুল পরিমাণে অর্থপাচার বন্ধে স্বচ্ছ জবাবদিহিতাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন:


পাঁচ বিভাগে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা

এই হচ্ছে বিএনপি, আর সব দোষ আওয়ামী লীগের?

রাজপথে নামার আহ্বান মোশাররফ-মান্নার

বাগেরহাটে ৩ ঘণ্টা পর প্লাইউড ফ্যাক্টরির আগুন নিয়ন্ত্রণে


news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর