সরকার দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এখন লাইব্রেরি খুলেছে, হল খোলেনি, সামনে হল খুলবে- বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ না, এসবের কারণ কী? কিছু জায়গায় করোনা আছে, কিছু জায়গাই নেই- তাই কী?
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘প্রতিবাদী অবস্থান’ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। একজন চালক কর্তৃক নিজ বাইকে আগুন দেওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সভা আয়োজন করে যুব ঐক্য।
মান্না বলেন, ‘১৮ মাস সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
‘প্রতি দিন কতজন লোক আক্রান্ত হলো, কতজন লোকের মৃত্যু হলো- সে ব্যাপারে সরকার নিয়মিত মিথ্যা কথা বলছে। তাদের সব তথ্য বানানো। এইভাবে পুরো জাতির সঙ্গে ভাওতাবাজী করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে তারা’- বলেন মান্না।
মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, বিমান চার্টার্ড করে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার ভাগ্নের বাসায় বেড়াতে যেতে পারেন না। এর জন্য কতো টাকা খরচ হয়েছে রাষ্ট্রের - তার হিসাব দিতে হবে। করোনাকালে মানুষকে সহায়তা করেনি সরকার। চাল, ডাল তেল সবকিছুর এতো দাম, অতি কষ্টে জীবনযাপন করছে মানুষ।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, জনগণকে উপোস রেখে রাষ্টের শত শত কোটি টাকা খরচ করে আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করতে দেড়'শ সঙ্গী সাথী নিয়ে প্রমোদ ভ্রমণে যাওয়ার হিসাব দিতে হবে। তোরা বলবি, তুই কে হিসাব চাওয়ার। আমি বলছি - আমি মান্না। আমি এই দেশের ১৮ কোটি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি।
বাইক চালকদের সরকারের পদত্যাগের আন্দোলন করতে বলছি না, আপনারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন, সুন্দরভাবে জীবিকা অর্জনের অধিকার আদায় করে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন
ফোনালাপ ফাঁস ও আড়ি পাতা বন্ধে করা রিট খারিজ
অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতাল ছাড়লেন ইনজামাম
আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে: ওবায়দুল কাদের
এবার মুফতি কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা দেশ? এই যে সেদিন ঘটনাটা ঘটল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একজন ছাত্রী হাঁটতে গিয়ে ম্যানহোলে পড়ে গেল। ৭০ ফুট নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হলো। ওই ম্যানহোলে কিছু দিন আগে একজন মানুষ পড়ে গেল। তার লাশ পাওয়া যায়নি, কীভাবে সেই ম্যানহোল এখন পর্যন্ত ঢাকনাবিহীন রয়ে গেল- তা জানতে চাই। ’
সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক যুব ঐক্যর সমন্বয়ক এস এম এ কবীর হাসান বলেন, একজন বাইক চালক এই রাষ্ট্র, জাতি, ব্যবস্থার প্রতি কতোটা অতীষ্ট, বিতশ্রদ্ধ হলে তার উপার্জনের বাইকটিতে আগুন দিতে পারেন। পথেঘাটে, পরিবহনে মানুষকে এখন হাসিমুখে দেখবেন না, মানুষজন উন্নয়নের ট্রাফিক জ্যামে ক্লিষ্ট। এই অবৈধ সরকারকে মানুষ আর চায় না। জনগণের যে কোনো অধিকার আদায়ের দাবিতে, এই করোনাকালে মানুষকে সহায়তা করার দাবিতে নাগরিক ঐক্যকে মানুষ তাদের পাশে পেয়েছে। দেশের জনগণ আগামীদিনে মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে নাগরিক ঐক্যের সরকার চায়। মানুষের অধিকার আদায়ে নাগরিক ঐক্যের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
news24bd.tv এসএম