ফজরের সালাত আদায়ে অশেষ নিয়ামত

ফজরের সালাত আদায়ে অশেষ নিয়ামত

অনলাইন ডেস্ক

মহান রাব্বুল আলামিন বান্দাদের জন্য সব সময় তার নিয়ামতের দরজা খুলে রেখেছেন। প্রত্যেকটি ভাল কাজের জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন আল্লাহ। আর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়ে বান্দাদের জান্নাত নিশ্চিত। এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের দিনের শুরুর সালাত ফজরের সালাত।

ফজরের নামাজের ফজিলত অনেক।

ফজরের সালাত আদায়ের মাধ্যমে লাভ করে আল্লাহর নিরাপত্তা। অথচ অধিকাংশ মানুষই ঘুমের ঘোরে তা পরিত্যাগ করে এই ফজিলতপূর্ণ নামাজ। ফজরের নামাজের উপকারিতা বর্ণনায় রয়েছে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনেক হাদিস।

১. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি তারা জানতো যে, ইশা ও ফজরের নামাজে কি ফজিলত রয়েছে, তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও (ফজর ও ইশার) জামাতে এসে শামিল হতো। ’ (মুসলিম)

২. মুসলিমের অন্য বর্ণনায় প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করে সে সারাদিন আল্লাহ তাআলার জিম্মায় (নিরাপত্তায়) থাকে। ’ সুবহানাল্লাহ!

হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী, এক মুমিন বান্দার জন্য আল্লাহর নিরাপত্তার চেয়ে উত্তম নিরাপত্তা আর কী হতে পারে।

ফজরের নামাজ এমন এক উপকারি নামাজ, যে নামাজ মানুষের ইবাদত বন্দেগিকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সে বর্ণনা সুস্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরেছেন। কেউ যদি ফজরের নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করে তবে সারারাত জেগে ইবাদত করার সাওয়াব পায়। হাদিসে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জামাআতে ইশার নামাজ আদায় করে, সে অর্ধ রাত ইবাদতের সাওয়াব পায়। আর যে ব্যক্তি ফজর নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করে সে সারারাত ইবাদত করার সাওয়াব পায়। ’ সুবহানাল্লাহ!

ফজরের মাত্র দু’রাকাআত নামাজ জামাআতে আদায় করার ফলে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে সারারাত ইবাদতের সাওয়াবের পাশাপাশি সারাদিনের নিরাপত্তা গ্রহণ করেন। একজন মুমিন বান্দার জন্য এরচেয়ে সৌভাগ্যের আর কী হতে পারে?

এতো গেল দুনিয়ার ঘোষণা, পরকালেও রয়েছে বিশেষ ঘোষণা- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যারা রাতের অন্ধকারে মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদেরকে তুমি কেয়ামতের দিনের পরিপূর্ণ আলোর সুসংবাদ দাও। ’

অর্থাৎ যে দিন আল্লাহর আলো ছাড়া আর কোনো আলো থাকবে না, সেদিন অন্ধকার পথে হেঁটে ফজর ও ইশার নামাজ আদায়কারীর জন্য থাকবে বিশেষ আলোর ব্যবস্থা।

সুতরাং হাদিসের আলোকে ফজরের নামাজ আদায়কারীর সুসংবাদগুলো হলো-
১. আল্লাহর নিরাপত্তা লাভ করা যায়।
২. ঘুমিয়ে থেকেও সারারাত ইবাদতের সাওয়াব লাভ করা যায়।
৩. কেয়ামতের দিন পুরিপূর্ণ আলোর সুসংবাদও দিয়েছেন প্রিয় নবি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত ইশার নামাজ জামাআতে পড়ার মাধ্যমে অর্ধ রাত এবং ফজর নামাজ জামাআতে আদায় করার মাধ্যমে সারারাত ইবাদতের সাওয়াব লাভ ও সারাদিনের নিরাপত্তা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরও পড়ুন


আয়াতুল কুরসী পাঠে জান্নাতে যাওয়ার যে ঘোষণা আছে হাদিসে

news24bd.tv এসএম