ভারতের মুম্বাইয়ের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ১৩ বছর আজ। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তানের জঙ্গিদের নারকীয় তাণ্ডবে রক্তে ভিজেছিল বাণিজ্যনগরী মুম্বাই৷ সেই হামলায় প্রাণ যায় ১৬৪ জনের৷ আহত হন আরো ৩ শতাধিক মানুষ। ২৬/১১ নামে পরিচিত ওই হামলায় সেদিন গোটা বিশ্ব কেঁপে ওঠে।
২৬ নভেম্বর, ২০০৮।
পাকিস্তান থেকে আরব সাগর পেরিয়ে ভারতের মুম্বাইতে হাজির হয়েছিল দশ জঙ্গি। কেউ কিছু বোঝার আগেই তারা ছড়িয়ে পড়ে এই বাণিজ্যনগরীর লিওপোল্ড ক্যাফে, নরিম্যান হাউস, তাজ হোটেল, ছত্রপতি শিবাজী বাস টার্মিনাস, ট্রাইডেন্ট হোটেল, কামা হাসপাতাল-সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। এর পরই শুরু হয় নির্বিচারে গুলিবর্ষণ।চার দিন ধরে মুম্বাই জুড়ে দশ জঙ্গির সেই হামলা বদলে দিয়েছিল নিরাপত্তার সামগ্রিক ধারণাই।
২৬ নভেম্বর শুরু হওয়া সেই নারকয়ীয় হামলা থেকে ২৮ নভেম্বর সকালে মুম্বাইকে মুক্ত ঘোষণা করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে তখনও তাজ হোটেলে নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছিলো জঙ্গিরা। তাই তাজ হোটেলকে জঙ্গিমুক্ত করতে ২৯ নভেম্বর ‘অপারেশন ব্ল্যাক টর্নেডো’ অভিযান চালায় ভারতীয় এনএসজি কমান্ডোরা। এতে বাকি জঙ্গিরা নিহত হলেও ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের অসীম সাহসিকতায় আটক করা হয় আজমল কাসভকে।
পরে তদন্তে জানা যায়, পাকিস্তান থেকে এই হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল জঙ্গি সংগঠন-লস্কর-ই তইবা। তার কাছ থেকেই জানা যায় হামলার খুঁটিনাটি সব। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে কাসভ পাকিস্তানের নাগরিক বলে জানায় ইসলামাবাদ। এর মধ্য দিয়ে ভারত জুড়ে আরো নিন্দিত হয় পাকিস্তান ৷
আরও পড়ুন
হোটেলে ফ্রিজে পাশাপাশি কাঁচা মাংস ও পচা তরকারি!
গুরুত্বপূর্ণ ৭০ স্পটে ৪১১ সিসি ক্যামেরা
বিচারের দাবিতে নটর ডেম শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
২৬/১১-এর এই হামলা শুধু ভারত নয়, সারা পৃথিবী জুড়েই নিরাপত্তা ব্যবস্থার কাঠামো বদলে দেয়। তার পর থেকেই সন্ত্রাস দমন যে কোন গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্যতম অঙ্গ হয়ে ওঠে। মুম্বাই হামলার পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশই লস্কর ই তইবাকে বেইআইনী ঘোষণা করে।
news24bd.tv/এমি-জান্নাত