বাধ্য ছিল দেহ ব্যবসায়, জিম্মায় রেখে কিশোরীকে ফের ধর্ষণ

ফাইল ছবি

বাধ্য ছিল দেহ ব্যবসায়, জিম্মায় রেখে কিশোরীকে ফের ধর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

বরিশাল নগরীতে দেহ ব্যবসায় বাধ্য হওয়ার কিশোরীকে জিম্মায় দেওয়ার পর ফের ফয়সাল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ফয়সাল হাওলাদার পলাতক রয়েছে।

গত বুধবার বিকালে ভুক্তভোগী কিশোরী বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনায় মামলা করেন।

এ সময় বিচারককে কিশোরী তার দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, বাবা-মা দেহ ব্যবসার কাজে বাধ্য করত।

তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত ১৪ নভেম্বর তাকে বোনের হেফাজতে দেন। এরপর থেকে তিনি নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়িতে অবস্থান করছিল। ২২ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে ফয়সাল হাওলাদার কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর কিশোরী বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে গিয়ে বাবা-মা চাপ প্রয়োগ করে যৌনকর্মীর কাজ করাচ্ছেন বলে অভিযোগ দেন।

অভিযোগে ওই কিশোরী জানান, বাবা-মায়ের সহযোগিতায় আনোয়ার হোসেন নামের একজন মধু ব্যবসায়ী তাকে ১২৫ বার যৌন নির্যাতন করেছে। কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কমিশনার কোতোয়ালি থানা পুলিশকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

ওই রাতেই পুলিশ বাবা, মা ও মধু ব্যবসায়ী আনোয়ারকে গ্রেফতার করে। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।

কিশোরীর বোন বাদী হয়ে বাবা-মা ও আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে কিশোরীকে বোনের হেফাজতে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন


বাগানে থেকে উদ্ধার করা মা-মেয়ের লাশের পরিচয় মিলেছে

news24bd.tv এসএম