‘ট্রাম্প-কিম বৈঠক এসিড টেস্ট; ব্যর্থ হলে চরম মূল্য’

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন।

‘ট্রাম্প-কিম বৈঠক এসিড টেস্ট; ব্যর্থ হলে চরম মূল্য’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠককে নান জনে নানাভাবে তুলে ধরাছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই এ বৈঠককে কূটনীতির ক্ষেত্রে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ বলে মনে করছেন।

তারা বলছেন, এ বৈঠকের ফলে দুদেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরমাণু ইস্যুতে বিরাজমান অচলাবস্থা দূর হতে পারে। তবে যদি ইতিবাচক ফলাফল না আসে তাহলে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

যার মাশুল গুনতে হবে দুদেশকেই।

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা হলেও তা বাস্তবায়ন কঠিন হবে উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বৈঠকের ফলাফল সংকটের মধ্যে পড়তে পারে কারণ আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। যার কারণে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় দেরি হতে পারে। কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টিকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং কিম জং উন তা এখনো ঠিক করতে পারেননি।

এ বিষয়ে দুনেতার মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা খুবই জরুরি। তা না হলে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টি সামনে এগুবে না।

আমেরিকা চায় উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু অস্ত্র এবং এ সংক্রান্ত কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করুক যা কোনোভাবেই চালু করা যাবে না।

অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়া তার নিরাপত্তার পূর্ণ নিশ্চয়তা চায়। এছাড়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে আমেরিকা যে পরমাণু নিরাপত্তা দিয়ে আসছে তা প্রত্যাহার করতে হবে বলেও পিয়ংইয়ং দাবি করছে। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন ২৮ হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। উত্তর কোরিয়ার এসব দাবির মুখে আমেরিকা কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তা নিয়ে তারা এ পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর