এক ঝলক চাহনি দিয়েই কী এরা সবকিছু টের পেয়ে যায়

শওগাত আলী সাগর

এক ঝলক চাহনি দিয়েই কী এরা সবকিছু টের পেয়ে যায়

শওগাত আলী সাগর

ডেনফোর্থ থেকে ওয়ার্ডেন পেরুতেই রঙিন বাতির ঝলকানি দেখেই টের পেয়ে যাই সামনে পুলিশের গাড়ি। রাস্তায় গাড়িগুলোর গতি দেখে কিছু একটা মনে হচ্ছিলো। ফাঁকা রাস্তায়ও যখন সবকটা গাড়ি সীমার চেয়েও কম গতিতে চলতে থাকে, তখন ধরে নিতে হয় রাস্তায় কোথাও পুলিশের গাড়ি আছে।

এতো জন পুলিশের কী দরকার ছিলো? প্রথম টিমটা এগিয়ে যাওয়ার ইশারা করে।

দ্বিতীয় টিমের একজন অফিসার হাত তুলতেই গাড়ি থামিয়ে গ্লাসটা নামিয়ে দেই।

: হ্যালো স্যার, হাউ আর ইউ? - খানিকটা নিরাপদ দূরত্ব থেকেই অফিসার জানতে চায়।
: আই অ্যাম ফাইন, থ্যাংক ইউ। হাউ এবাউট ইউ? - পাল্টা সৌজন্য ছুড়ে দেই আমি।


টের পাই, মুখে চমৎকার মিষ্টি একটা হাসি অফিসারের। তাঁর চোখ দুটো কী দূরবীন!
: বাই দ্যা ওয়ে, ডিড ইউ ড্রিংক অ্যালকোহল অর….
: নোপ….
: অল রাইট, থ্যাংক ইউ সো মাচ স্যার।

কোনো রকম সংশয় না দেখিয়েই ঝটপট ধন্যবাদ জানাতে শুরু করে অফিসার। গ্রিট করার জন্য তাকাতেই চোখাচুখি হয়ে যায় অফিসারের সাথে। এক ঝলক চাহনি দিয়েই কী এরা সবকিছু টের পেয়ে যায়। আমি আস্তে আস্তে এস্কেলেটারে পা রাখি।

: সরি ফর দ্যা ইনকনিভেনিয়েন্স স্যার। উই ডু দিজ ফর ইউর সেফটি স্যার। হ্যাভ অ্যা সেফ ড্রাইভ অ্যান্ড প্ল্যাজেন্ট নাইট।  
আমি পেছনে না তাকিয়েই আয়নায় একটুকরো হাসি ছড়িয়ে দিয়ে গাড়িতে স্পিড তুলি।  

পুলিশ অফিসারের কণ্ঠটা কানে বাজতে থাকে। সরি ফর দ্যা ইনকনিভেনিয়েন্স স্যার। উই ডু দিজ ফর ইউর সেফটি স্যার। হ্যাভ অ্যা সেফ ড্রাইভ অ্যান্ড প্লেজেন্ট নাইট।

আরও পড়ুন


বাজুস সভাপতির দায়িত্ব নিলেন সায়েম সোবহান আনভীর

news24bd.tv এসএম