বঙ্গবন্ধু মানুষের মনের স্পন্দন বুঝতে পারতেন 

অন্তরা বিশ্বাস

বঙ্গবন্ধু মানুষের মনের স্পন্দন বুঝতে পারতেন। তাই জনগণ তাকে শ্রেষ্ঠ বাঙালীর রায় দিয়েছে বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্টজনেরা। নিউজ টোয়েন্টিফোরকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নূরে আলম সিদ্দিকী, তোফায়েল আহমেদ ও আমীর হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীনই হত না। তাই তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী।

 

মানবিকতা, দূরদর্শীতা, সাহসীকতা, ক্ষমাশীলতা, নেতৃত্বের গুণাবলীসহ হাজারও গুণের মিশ্রণে অনন্য-অসাধারণ বঙ্গবন্ধু। আপোষহীন জীবনে প্রলোভনকে উড়িয়ে দিয়েছেন বহুবার। কিন্তু সব ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের দু:খগাঁথা বুঝবার ক্ষমতাই যেন তাকে দিল শ্রেষ্ঠত্ব। বঙ্গবন্ধুর চার খলিফাখ্যাতদের অন্যতম নূরে আলম সিদ্দিকীর মুখে উঠে আসে এসব কথা।

   

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করেছেন বঙ্গবন্ধু। লড়েছেন অসহায়, নিপীড়িতের পক্ষে। আন্দোলন সংগ্রামের জন্য জীবদ্দশায় চার হাজার ৬৮২ দিন কারাগারে বন্দী থেকেছেন। ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, সত্তরের নির্বাচন সকল ধাপে তিনি জাতীয় চেতনা বিনির্মানে অগ্রণী ছিলেন।  একটি আন্দোলন দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরের আন্দোলনের জন্য সাধারণ মানুষকে প্রস্তুত করেছেন বলে মনে করেন তার সমসাময়িক রাজনীতিবিদরা। আর সাতই মার্চের ভাষণে তিনি জানান দেন কেবলমাত্র দু:খীর দু:খ মোচনের সংগ্রামেই নয়, সশস্ত্র শুত্রুর মোকাবেলা করতেও অকুতোভয় তিনি।

এক বিদেশী সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় যোগ্যতা আর অযোগ্যতা কি? উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সবচেয়ে বড় যোগ্যতা তিনি দেশের মানুষকে ভালবাসেন। আর সবচেয়ে বড় অযোগ্যতা  তিনি দেশের মানুষকে অনেক বেশি ভালবাসেন। আর সেকারণেই হয়ত পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট প্রাণ দিতে হয়েছিল তাকে।

সাধারণ মানুষ যেন সহজে তার কাছে আসতে পারে তাই তিনি গণভবনে না থেকে থাকতেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। বঙ্গের সকল মানুষের বন্ধু ছিলেন বলেই তিনি বঙ্গবন্ধু। দেশের সাধারণ মানুষকে সন্তানসম ভাবতেন বলেই তিনি জাতির পিতা। তাইতো জণগনের রায়ে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

news24bd.tv/আলী