নৌমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতাদের ক্ষোভ

নৌমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতাদের ক্ষোভ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

জেলাহত্যা দিবসে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের শোকসভায় অংশ নেয়নি সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিকনেতা শাজাহান খান। একই দিনে একটি কলেজের অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন তিনি। এতে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

শনিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেন।

তবে নৌমন্ত্রী দাবি করেছেন, তাকে অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়নি।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা জানান, ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও জাতীয় চার নেতাকে। দিবসটি পালনের জন্যে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি হাতে নেয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাতটায় দলীয় কার্যালয়ে নিহত নেতাদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ও সকাল নয়টায় আলোচনা সভার আয়োজন করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজাদ মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তবে মাদারীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি। তিনি পূর্ব নির্ধারিত রাজৈর উপজেলার কবিরাপুর ছইফউদ্দিন মহাবিদ্যালয়ের অর্নাস কলেজে উন্নীত হওয়ায় অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বর্তমান সরকারের দায়িত্বরত মন্ত্রীর এমন কার্যকলাপে ক্ষোভে ভেঙ্গে পড়েন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তারা এসময় মন্ত্রীর বিভিন্ন বির্তকিত বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরে জেলার নেতারা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এই কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেন।

এ ব্যাপারে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘আমাকে জেলা আওয়ামী লীগের জেলহত্যা অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া হয়নি। ফলে সেখানে অংশ নেইনি। সন্ধ্যায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে বলেছে, সেখানে অংশ নেব। আর রাজৈরের ওই অনুষ্ঠানে আমি নবীনদের বরণ করে বক্তব্য রেখে চলে গিয়েছি। ওখানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি থাকিনি। যারা আমাকে নিয়ে এসব মন্তব্য করে, তারা তো প্রকাশ্যেই আমার উন্নয়নের বিরুদ্ধে কথা বলে। এটা নিয়ে আর কি বলার আছে। ’ 

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/বেলাল/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর