ফরিদপুরে ধর্ষণের দায়ে নারীসহ পল্লী চিকিৎসক আটক

ফরিদপুরে ধর্ষণের দায়ে নারীসহ পল্লী চিকিৎসক আটক

ফরিদপুরে ধর্ষণের দায়ে নারীসহ পল্লী চিকিৎসক আটক

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে ফরিদপুরে মহিউদ্দিন (৪২) নামের এক পল্লী চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণে সহযোগীতা করায় নাজমুন নাহার (৪০) নামের এক মহিলাকেও আটক করা হয়।

র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল সোমবার দিবাগত রাতে শহরতলীর কানাইপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসককে আটক করে। আর নাজমুন নাহারকে আটক করা হয় বোয়ালমারী উপজেলার ভরকাদিরদী গ্রাম থেকে।

 

এ ব্যাপারে র‌্যাব-৮ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইচ উদ্দিন জানান, ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের সম্মান চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রী তার স্বামীর বাড়ি থেকে রাগ করে বাবার বাড়ি বোয়ালমারীর কাদিরদী চলে যায়। কিন্তু তার বাবা তাকে গ্রহণ না করলে সে তার চাচী নাজমুন নাহারের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এক সপ্তাহ আগে চাচী তাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বোনের ছেলে পল্লী চিকিৎসক মহিউদ্দিনের কাছে পাঠিয়ে দেয়। মহিউদ্দিন ওই ছাত্রীকে ৯ নভেম্বর ঢাকায় নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রেখে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ১৩ নভেম্বর ওই কলেজছাত্রীর পরীক্ষা থাকায় তাকে ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়। গোপন সংবাদের ভিক্তিতে র‌্যাব শহরের চুনাঘাট ব্রিজ এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে।
পরে শহরতলীর কানাইপুর এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসক মহিউদ্দিনকে আটক করে।  

এসময় তার কাছ থেকে ৪৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় ভিকটিমের চাচী নাজমুন নাহারকে আটক করা হয়।     

অভিযুক্ত মহিউদ্দীন পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক। সে ঢাকা নবাবগঞ্জের পাতিলঝাপ এলাকায় সেবা মেডিকেল হলে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। সে বিবাহিত এবং তার ২ ছেলে সন্তান রয়েছে।  

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।  

সম্পর্কিত খবর