বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর

বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সহকর্মীর কফিন কাঁধে কান্নায় ভেঙে পড়েন সেনা কর্মকর্তা (ফাইল ছবি)

পিলখানা ট্র্যাজেডি

বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কালো দিন। ২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি (তৎকালীন বিডিআর) সদর দফতরে ঘটে যায় এক নির্মম-নৃশংস ঘটনা। ৯ বছর আগের ওই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪জন নিহত হন।

হত্যাযজ্ঞের বীভৎসতায় বিমূঢ় হয়ে পড়ে গোটা জাতি।

২০০৯ সালের এই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিজিবির বার্ষিক সম্মেলন চলাকালে দরবার হলে ঢুকে পড়ে একদল বিদ্রোহী জওয়ান। বিদ্রোহীরা দরবার হল ও এর আশপাশের এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়।

ততক্ষণে রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত হয় পিলখানা। পরে পিলখানা থেকে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১ জন সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিডিআর সদস্য ও ৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

ওই বিদ্রোহের ঘটনায় দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে দায়ের করা হত্যা মামলায় বিশেষ আদালত ১৫২ জনকে ফাঁসি, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মোকদ্দমা হিসেবে পরিচিত এই মামলার রায় প্রায় তিন মাস আগে হাইকোর্ট ঘোষণা করলেও এখনো বিচারকার্য চলছে বলে জানা গেছে। এই রায়ের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ অপেক্ষায় রয়েছে। রায় কবে প্রকাশিত হবে সে বিষয়েও কারো সুস্পষ্ট ধারনা নেই। তবে উভয়পক্ষ দ্রুত রায়ের কপি পাবে বলে প্রত্যাশা করছে। রায়ের কপি পাওয়ার পর আপিল করার জন্য উভয় পক্ষের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

সম্পর্কিত খবর