জার্সি খোলা দেখতে চেয়ে ঝামেলায় ঋষি কাপুর

জার্সি খোলা দেখতে চেয়ে ঝামেলায় ঋষি কাপুর

নিউজ ২৪ ডেস্ক:

১৯৮৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে লর্ডসের ব্যালকনিতেই ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন কপিল দেব। তবে সেই ছবিটাকেও পরে ছাপিয়ে গেছে সৌরভ গাঙ্গুলীর জার্সি খুলে বনবন ঘোরানোর উদ্‌যাপন। বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা ঋষি কাপুর কাল এ নিয়ে টুইট করে ভালোই ঝামেলায় ফেঁসেছেন। ভারতের মেয়েরা কাল লর্ডসের বিশ্বকাপ ফাইনালে জিততে চলেছিল।

আর ঋষি কাপুর তখন টুইট করেন, সৌরভের জার্সি খোলার উদ্‌যাপনের পুনরাবৃত্তি দেখতে চান! ঋষির মন্তব্য ভদ্রতার সীমা ছাড়িয়ে গেল কি না, এই প্রশ্ন ছুটে যায় তাঁর দিকে।

২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে নাটকীয়ভাবে জিতে যায় ভারত। তখনকার অধিনায়ক সৌরভ তাঁর দাদাগিরি দেখিয়ে দেন জার্সি খুলে বনবন ঘুরিয়ে। ফুটবলে এমন উদ্‌যাপন নিয়মিত দৃশ্য হলেও ক্রিকেটে তা ছিল ব্যতিক্রম।

আবার ভেন্যুটিও ছিল লর্ডস, ক্রিকেটীয় ঐতিহ্যের প্রতীক। সব মিলিয়ে দারুণ আইকনিক একটা ছবির জন্ম দেন সৌরভ।

সেই একই ভেন্যুতে কাল ভারতের মেয়েরা প্রথমবারের মতো ট্রফি জেতার দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন। ইংল্যান্ডকে ২২৮ রানে আটকে ফেলে ৩ উইকেটে ভারত তোলে ১৯১ রান। সেই ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ভারত হেরে গেছে ৯ রানে! মাত্র ২৮ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়েছে ২১৯ রানে!

এর আগেই অবশ্য সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সৌরভের উদোম গায়ের ছবি পোস্ট করে ঋষি টুইট করেন, ‌‘লর্ডসের ব্যালকনিতে সৌরভের এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই, যেটা ও করেছিল ২০০২-এর ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের ফাইনালে। ’

এরপর সেখানে মন্তব্যের ঝড় ওঠে। বেশির ভাগই ঋষিকে প্রশ্ন করেন, খেলাটা মেয়েদের। সেখানে এমন টুইট আর এমন ছবি ব্যবহার না করলেই পারতেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেন, ঋষি কাপুর সজ্ঞানে এমন টুইট করেছেন কি না।

বিতর্কের মুখে অবশ্য ঋষি টুইটটা সরিয়ে নেননি। পরে আরেকটি টুইট করে মন্তব্য করেন, ‌‘আমি ভুল কী বলেছি? বলিনি তো কোনো নারী খেলোয়াড়কে এমনটা করতে হবে। আমি বলেছি সৌরভকে তা আবার করতে। আপনাদের ভাবনা নোংরা, বন্ধু। যার মনে যা...। ’