‘এসব গণতন্ত্রের ‘গ’ ও না’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

‘এসব গণতন্ত্রের ‘গ’ ও না’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

দেশে আইনের দুই রকম প্রয়োগ হচ্ছে  বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, উনারা যখন রাস্তা বন্ধ কইরা মিটিং-মিছিল করবেন ওইটা হালাল। আর আমরা ফুটপাতে দাঁড়াইয়া মিছিল-মিটিং করতে গেলেও হারাম। জলকামান থেকে পানি দেওয়া, পুলিশ দিয়ে পিটাইয়া দেওয়া হয়।

এসব গণতন্ত্র তো নয়ই, গণতন্ত্রের ‘গ’ ও না। এটা অন্য তন্ত্র হতে পারে, গণতন্ত্র না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বিএনপির প্রয়াত সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করে চিত্র তুলে ধরেন নজরুল।

বলেন, পত্রিকায় দেখলাম, বাংলাদেশ মানবাধিকার বিষয়ে চার ধাপ নিচে নেমে গেছে। এমনিতেই ছিলাম ১১২/১১৪, এখন ১১৫ তে। মানে শেষের দিকে আরকি।

বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে বলে মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম খান।
 
তিনি বলেছেন, কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে আটক রাখার জন্য অনেক চেষ্টা হবে। কিন্তু তারা (সরকার) পারবে না। ইনশা আল্লাহ তিনি বের হয়ে আসবেন। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করব। জনগণ আবার বেগম জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করবে।
 
নজরুল বলেন, কঠিন সময় আমরা অতিক্রম করছি। এই কঠিন সময় থেকে আমরা যদি বাঁচতে চাই জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস থেকে দেশকে মুক্ত করতে চাই, দুর্নীতিমুক্ত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে জনগণের নির্বাচিত তাদের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১৯ মার্চ আমাদের সমাবেশ সেই সমাবেশের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে আমাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন যদিও তারা বরাবরই অনুমতি দেয় তারই ধারাবাহিকতায় এবারও দিয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্র কারা চালাচ্ছে বোঝা মুসকিল। তারা যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই হয়ে থাকে। তার পরও এটার জন্য আপনারা প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। এর মধ্যে যদি নেত্রী মুক্তি পান তাকে দেখার জন্য সমাবেশে লক্ষ লক্ষ জনসমাগম হবে। আর যদি বের হতে না পারেন তাকে সহানুভূতি জানানোর জন্য আরও বেশি লোক উপস্থিত হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয়সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ,সহযুববিষয়ক সম্পাদক  মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতউল্লাহ, ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জিনাফ’র সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর