তুরস্কের প্রথম পরমাণু স্থাপনা ‘আকুইয়ু’ নির্মাণ করবে রাশিয়া। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আংকারা। অনুষ্ঠানটি ভূমধ্যসাগর উপকূলীয় শহর মারসিনে হবে বলে জানা গেছে।
আকুইয়ু পরমাণু স্থাপনাটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রোজাটম নির্মাণ করবে।
পরমাণু স্থাপনাটি নির্মাণ করতে মোট ব্যয় হবে দুই হাজার কোটি ডলার। প্রতিষ্ঠানটি বছরে আট হাজার ঘণ্টা কাজ করতে পারবে।
আল-জাজিরা টেলিভিশনে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে তুরস্কে দুটি ইউনিটের কাজ শেষ করা হবে। যা থেকে ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। পরে বাকি দুটি ইউনিটের কাজ শেষ করা হবে। স্থাপনাটি পুরোপুরি চালু হলে সেখান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। যা তুরস্কের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার শতকরা ১০ ভাগ। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগে শুধু ইস্তাম্বুল শহরেই।
পরমাণু স্থাপনাটি চালু করার জন্য প্রাথমিক সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৩ সাল। পূর্ণ মাত্রায় চালু হবে ২০২৫ সালে। স্থাপনাটি নির্মাণের জন্য পুরোপুরি কাজ শুরু হলে ১০ হাজার লোক নিয়োগ পাবে। আর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে সেখানে সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তি চাকরির সুযোগ পাবে। এ স্থাপনায় কাজ করার জন্য তুরস্কের ২৪৮ জন ছাত্রকে রাশিয়ায় লেখাপড়া করানো হয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে ৩৫ জন ছাত্র গ্রাজুয়েট হয়েছেন। যাদের লেখাপড়া শেষ করতে সময় লেগেছে সাড়ে ছয় বছর।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
