বৈরি আবহাওয়ার কারণে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চলতি বোরো মৌসুমে ধান ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ছত্রাক জাতীয় এ রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কৃষি বিভাগের নিরলস প্রচেষ্টায় এ রোগ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর চিরিরবন্দর উপজেলায় ১৮ হাজার ৭ শত ৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে নেক ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: খাদেমুল ইসলাম জানান,অফিস থেকে আমাদের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আমরা বন্ধের দিনেও বিভিন্ন জায়গায় কৃষক-কৃষাণীর সঙ্গে দলীয় আলোচনা ও উঠান বৈঠক করছি।
তিনি আরো বলেন, বৈরি আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের কারণে এ রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে । তবে কৃষি উপ-সহকারীদের চেষ্টায় এ রোগ এখন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
আলোকডিহি ইউনিয়নের কৃষক নছির উদ্দিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,সঠিক সময়ে এ রোগ বুঝতে না পারায় আমার ১ বিঘা জমিতে এ রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। পরে কৃষি বিভাগের নিয়মিত পরামর্শে বালাইনাশক স্প্রে ব্যবহার করি। এখন আমার বাকি ধান ক্ষেতগুলো সুরক্ষিত রয়েছে।
সাতনালা ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া গ্রামের কৃষক রাজু, জাকির, আরিফ, নজরুল ও নশরতপুর ইউনিয়নের শহিদ, মামুন এবং ফতেজংপুর ইউনিয়নের খাড়িপাড়া গ্রামের সালাম,রহমান,ফয়জারসহ আরো অনেকে জানান, প্রথম দিকে এ রোগ দেখা দিলেও কৃষি উপ-সহকারীর দেয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী স্প্রে করে ব্লাস্ট সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, ব্লাস্ট রোগ একটি ছত্রাক জনিত রোগ । এটি বৈরি আবহাওয়ায় দ্রুত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় । তবে সঠিক সময়ে যদি সঠিক বলাইনাশক স্প্রে করা যায়, তবে এ রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
‘আমাদের কৃষি বিভাগের সকল উপ-সহকারীরা কৃষকের পাশে থেকে লিফলেট, প্রেসক্রিপশনসহ সব রকমের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি, নতুন করে আর কোনো ধানক্ষেত এ রোগে আক্রান্ত হবেনা। ’
পলাশ/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর