ব্লাস্ট রোগ দমনে তৎপর দিনাজপুর কৃষি বিভাগ

ব্লাস্ট রোগ দমনে তৎপর দিনাজপুর কৃষি বিভাগ

ফখরুল হাসান পলাশ • দিনাজপুর প্রতিনিধি

বৈরি আবহাওয়ার কারণে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চলতি বোরো মৌসুমে ধান ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ছত্রাক জাতীয় এ রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কৃষি বিভাগের নিরলস প্রচেষ্টায় এ রোগ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর চিরিরবন্দর উপজেলায় ১৮ হাজার ৭ শত ৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।

 

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে নেক ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।  

news24bd.tv

এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: খাদেমুল ইসলাম জানান,অফিস থেকে আমাদের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আমরা বন্ধের দিনেও বিভিন্ন জায়গায় কৃষক-কৃষাণীর সঙ্গে দলীয় আলোচনা ও উঠান বৈঠক করছি।

তাছাড়া অফিস থেকে কৃষি পরামর্শ হিসেবে ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) সরবরাহ করা হয়েছে, যা আমরা কৃষকদের মাঝে বিতরণ করছি।  

তিনি আরো বলেন, বৈরি আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের কারণে এ রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে । তবে  কৃষি উপ-সহকারীদের চেষ্টায় এ রোগ এখন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।  

আলোকডিহি ইউনিয়নের কৃষক নছির উদ্দিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,সঠিক সময়ে এ রোগ বুঝতে না পারায় আমার ১ বিঘা জমিতে এ রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। পরে কৃষি বিভাগের নিয়মিত পরামর্শে বালাইনাশক স্প্রে ব্যবহার করি। এখন আমার বাকি ধান ক্ষেতগুলো সুরক্ষিত রয়েছে।  

সাতনালা ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া গ্রামের কৃষক রাজু, জাকির, আরিফ, নজরুল ও নশরতপুর ইউনিয়নের শহিদ, মামুন এবং ফতেজংপুর ইউনিয়নের খাড়িপাড়া গ্রামের সালাম,রহমান,ফয়জারসহ আরো অনেকে জানান, প্রথম দিকে এ রোগ দেখা দিলেও কৃষি উপ-সহকারীর দেয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী স্প্রে করে ব্লাস্ট সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, ব্লাস্ট রোগ একটি ছত্রাক জনিত রোগ । এটি বৈরি আবহাওয়ায় দ্রুত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় । তবে সঠিক সময়ে যদি সঠিক বলাইনাশক স্প্রে করা যায়, তবে এ রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।  

‘আমাদের কৃষি বিভাগের সকল উপ-সহকারীরা কৃষকের পাশে থেকে  লিফলেট, প্রেসক্রিপশনসহ সব রকমের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি, নতুন করে আর কোনো ধানক্ষেত এ রোগে আক্রান্ত হবেনা। ’

পলাশ/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর