‘বাচ্চাকে খাওয়াবো নাকি মেরে ফেলবো?’

সংগৃহীত ছবি

পাকিস্তানি সরকারের কাছে এক মায়ের প্রশ্ন

‘বাচ্চাকে খাওয়াবো নাকি মেরে ফেলবো?’

অনলাইন ডেস্ক

সারাবিশ্বের ন্যায় পাকিস্তানেও ব্যাপক আকারে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। অবস্থা এতই বেহাল যে মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছে। হু হু করে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম।

খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বেড়েছে ৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত। বিপাকে দেশটির সাধারণ জনগণ।

মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার এ সময়ে এক পাকিস্তানি মায়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দেশটির খ্যাতিমান সাংবাদিক হামিদ নূর ভিডিওটি শেয়ার করেছেন।

যেখানে ওই মা ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ইলেকট্রিক বিল বাড়া নিয়ে কথা বলেছেন। এমনকি দাম বাড়া নিয়ে সরকারকে এক হাত দেখিয়েছেন তিনি।

করাচিতে থাকা ওই মায়ের নাম রাবেয়া। দুই সন্তানের জননীর ওই ভিডিওতে তাকে কান্না করে কথা বলতে দেখা যায়। মুদ্রাস্ফীতির পর তাকে যে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে সে অভিযোগ করতে দেখা যায়।

দাম বাড়া নিয়ে কথা বলছেন করাচির রাবেয়া

তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার পর কীভাবে খরচ মেটাতে হবে তা শাসক গোষ্ঠীর বলা উচিত। আমি কি করবো? ঘর ভাড়া দিবো, নাকি ইলেকট্রিক বিল দিবো। নাকি বাচ্চাদের জন্য দুধ ও ওষুধ কিনবো। নাকি তাদের মেরে ফেলবো?’

‘আমি কি সন্তানদের জন্য ওষুধ কেনা এড়াতে পারি? এই সরকার গরিব মানুষদের মেরে ফেলছে। আপনারা কি মহান আল্লাহর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভয় পান না?’ যোগ করেন রাবেয়া।

এ দিকে ভিডিওটির জবাবে নিজেদের সাফাই গাইছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। তিনি বলেন, ‘গত জুন থেকে আমরা বিদ্যুতের দাম বাড়ায়নি। এমনকি ওষুধের দামও বাড়ানো হয়নি। ’

সূত্র: এনডিটিভি

news24bd.tv/মামুন