৬ ঘন্টা পর বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

ফাইল ছবি

৬ ঘন্টা পর বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে বিমানবন্দর সড়কে বিক্ষোভরত শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এতে করে ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

এদিকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সরে গেলেও, খিলক্ষেত এলাকায় বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেছেন। তারা নয় দফা দাবিও জানিয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে বেপোরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে, নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

দাবিতে আরও রয়েছে, শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে, প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে, শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবে না এবং বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না বলেও দাবি জানিয়েছে তারা।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ফলে হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেটে নিজেদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তবে বেলা বাড়তে বাড়তে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরাতে পারেনি। দুপুরে বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়তে থাকে।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বিভিন্ন অংশে কয়েকহাজার শিক্ষার্থী ‘নৌমন্ত্রী নৌমন্ত্রী, ক্ষমা চাও ক্ষমা চাও’, ‘We want Justice, We want Justice’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘আমার বোন মরলো কেন, জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘রাজপথ ছাড়বোনা, বিচার ছাড়া যাবো না’ ‘জাবালে নুর জাবালে নুর, ত্যাগ করো ত্যাগ কর’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ করছিলেন।

রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার পথে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস এসে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। এরা হলেন- শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মানবিক শাখার দ্বাদশ শ্রেণির রেজাউল করিম রাজু এবং একাদশ শ্রেণির দিয়া খানম। এছাড়া গুরুত্বর আহত হয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী কুর্মিটোলা হাসপাতাল ও সিএমএইচে ভর্তি রয়েছেন।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর