কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খুন, স্বামী-শ্বশুর গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খুন, স্বামী-শ্বশুর গ্রেপ্তার

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক গৃহবধূকে খুন করেছে তাঁরই স্বামী ও শ্বশুর। ভারতের সোনারপুর থানা এলাকার গোবিন্দপুরে 
এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ওই গৃহবধূর বাবা সোনারপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তাদের বিরুদ্ধে বধূহত্যার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, ভারতের সোনারপুর থানা এলাকার গঙ্গাজোয়ারা এলাকার বাসিন্দা ওই নারীর সঙ্গে লাঙলবেড়িয়ার বাসিন্দা সুজন মণ্ডলের বিয়ে হয়। সুজন পেশায় রাজমিস্ত্রি। বাড়ির অমতে তাঁরা বিয়ে করে।

বিয়ের পর তাঁদের ঘরে এক সন্তানও জন্মগ্রহণ করে।

অভিযোগে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর শুরু হয় অত্যাচার। যৌতুকের দাবিতে অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর বাবার। এমনকী বাড়িতে কেউ না থাকলে শ্বশুর তপন মণ্ডল তাঁকে কুপ্রস্তাব দিত বলে অভিযোগ ওঠে। শিশুকন্যার সামনেই জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টাও করা হত। স্বামীকে একথা বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

তাই, বিষয়টি মা ও খালাকে জানায় ওই গৃহবধূ। আলোচনার মাধ্যমে সাময়িক সুরাহা হলেও কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। বরং ফাঁকা বাড়িতে ছেলের বউকে একা পেলেই তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করত শ্বশুর। বুধবারও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। বাড়িতে শিশুকন্যাকে নিয়ে একাই ছিলেন ওই নারী। ফাঁকা বাড়িতে তাঁকে একা পেয়ে শ্বশুর তপন মণ্ডল জোর করে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে দরজা বন্ধ করে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। জল খাওয়ার অজুহাতে দরজা খুলতে বাধ্য করা হয় তাঁকে। এরপর তাঁকে নির্যাতনের চেষ্টাও করা হয়। শিশুকন্যার সামনেই চলতে থাকে দুজনের ধস্তাধস্তি। এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।

অভিযোগ, এরপরই স্ত্রী ও ছেলেকে ডাকে ওই ব্যক্তি। তিনজনে মিলে তাঁকে মারধর করতে থাকে। বুধবার দুপুরের দিকে যুবতীর বাড়ির লোকজনকে তাঁর অসুস্থতার খবর দেয় স্বামী সুজন। পরিবারের লোক সেখানে পৌঁছে দেখেন কাপড় ঢাকা দিয়ে বারান্দায় শোওয়ানো রয়েছে মেয়ের দেহ। তাঁদের সন্দেহ হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে প্রশ্ন করেন। তখনই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। সেই সঙ্গে জানানো হয় তাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে আটকে রেখে সোনারপুর থানায় খবর দেন তাঁর পরিজন ও স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে ওই গৃহবধূকে সোনারপুর হাসপাতালে নেয়। কিন্তু তার অনেক আগেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। পরে রাতে সোনারপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর