এয়ারপোর্ট রোডে ‘উন্নয়নের’ ভোগান্তির শেষ কোথায়?

সংগৃহীত ছবি

এয়ারপোর্ট রোডে ‘উন্নয়নের’ ভোগান্তির শেষ কোথায়?

গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট অর্থাৎ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বিআরটি প্রকল্পের কাজ। কিন্তু কাজের ধীরগতি, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, ছোট বড় গর্ত, অনেক স্থানে কার্পেটিং না থাকায় মহাসড়কের অবস্থা বেহাল। লেগেই থাকে যানজট। এক ঘণ্টার রাস্তা যেতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।

তাই জনভোগান্তি এখন চরমে। তবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে উন্নয়ন কাজ চলায় বড় অংশ জুড়েই যান চলাচল বন্ধ থাকে। যেটুকু লেন উন্মুক্ত, সেখানেও অজস্র খানাখন্দ।

অনেক স্থানে যন্ত্রপাতি, ড্রেনেজের কাজ চলমান থাকার পাশাপাশি নির্মাণ সমাগ্রি রাখায় রাস্তা একেবারেই সংকুচিত। ফলে এ সড়কে গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। যার প্রভাবে এই পথে চলা মানুষের জীবন থেকে নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ কর্মঘণ্টা।  

এই রুটের কয়েকজন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়। তারা সড়কের এই অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা জানান, বৃষ্টিতে কাঁদা-জলে একাকার বেহাল মহাসড়কের কারণে যানজট দিন দিন বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে দুর্ভোগের মাত্রাও।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ২০.০৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে উত্তরা থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড বিআরটি লাইন এবং বাকি ১৬ কিলোমিটার থাকবে সমতলে। প্রকল্পের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ছয়টি ফ্লাইওভার।  

বিআরটির প্রকল্প পরিচালক এ এস এম ইলিয়াস শাহ জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে সড়কের কাজ।

২০১২ সালের ২০ নভেম্বর এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সরকার। ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। কয়েক দফা পিছিয়ে বতর্মান এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার ওপরে।  
news24bd.tv/ইস্রাফিল