‘সহায়তা’ হিসাবে ১৪ লাখ টাকা আছে : ডিসি

সড়কে জন্ম নেওয়া শিশু ফাতেমার

‘সহায়তা’ হিসাবে ১৪ লাখ টাকা আছে : ডিসি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুর আগ মুহূর্তে সড়কে জন্ম নেওয়া শিশু ফাতেমার ‘রত্না আক্তার রহিমার নবজাতক শিশু ও অপর দুই সন্তানের সহায়তা হিসাব’ নম্বরটিতে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৭ টাকা জমা আছে। সোনালী ব্যাংকের ওই হিসাবে ক্ষতিপূরণের পাঁচ লাখ টাকাও আছে।  

ক্ষতিপূরণের পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানাতে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।

 

স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করেন, 'ট্রাস্টি বোর্ড, বিআরটিএ তহবিল থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পিতা মাতার নবজাতক শিশুর অভিভাবককে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্ত পাঁচ লক্ষ টাকার ক্রস চেক সোনালী ব্যাংক, ত্রিশাল শাখায় জমা আছে। এই টাকার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গের প্রদত্ত টাকাও ওই হিসাব নম্বরে জমা হচ্ছে।  

স্ট্যাটাসটিতে আরও বলা হয়, 'এই একাউন্ট পরিচালনা করছেন শিশুর অভিভাবক দাদা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ত্রিশাল। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।

যৌক্তিক প্রয়োজনে শিশু ও তার পরিবারের কল্যাণের জন্য এই একাউন্ট থেকে খরচ করা হবে। '

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই হিসাবে জমা হয়েছে ১৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০২ টাকা। এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ২৫ টাকা। বর্তমানে জমা আছে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৭ টাকা। শিশুটি বর্তমানে সরকারি খরচে ঢাকার ছোটমনি নিবাসে চিকিৎসাসহ উন্নতমানের সেবাসহ লালিত পালিত হচ্ছে। নবজাতকের দাদীকে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড দেওয়া হয়েছে।  

জানা যায়, শিশু ফাতেমার কল্যাণে ব্যয় করার জন্য ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য গঠিত হয় ট্রাস্টি বোর্ড। তবে "জেলা প্রশাসক সেই টাকা শিশু ফাতেমার কল্যাণে ব্যয়ের ব্যবস্থা না করে শিশুর পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে জমা রেখেছেন" এমনটি জানিয়ে বৃহস্পতিবার রিট আবেদন করা হয় হাইকোর্টে। সেই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। পরে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসককে শোকজ করেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই ত্রিশাল পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ওই দুর্ঘটনায় ত্রিশালের রাইমনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার স্ত্রী রত্না বেগম (৩০) এবং মেয়ে সানজিদা খাতুন (৬) মারা যায়। মৃত্যুর আগে রত্না বেগম সড়কেই এক নবজাতকের জন্ম দেন।

news24bd.tv/কামরুল