কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক হলেন ইমদাদুল হক মিলন

ইমদাদুল হক মিলন

কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক হলেন ইমদাদুল হক মিলন

অনলাইন ডেস্ক

কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক হলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। বুধবার (২৩ নভেম্বর) ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের উপদেষ্টা (প্রেস ও মিডিয়া) আবু তৈয়ব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে প্রায় ১০ বছর ধরে ইমদাদুল হক মিলন কালের কণ্ঠের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত বছরের ৩ অক্টোবর তিনি ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের (ইডাব্লিউএমজিএল) পরিচালক নির্বাচিত হন।

 একই সময় থেকে তিনি ইডাব্লিউএমজিএলের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন।

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘দেশের অন্যতম শক্তিশালী গণমাধ্যম কালের কণ্ঠকে আরো এগিয়ে নিতে সকল কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করব। ’

ইমদাদুল হক মিলন ২০১১ সালের ৪ জুলাই কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হন।

২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ সম্পাদক পদে আসীন হন।

দায়িত্ব গ্রহণের পর কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা ইমদাদুল হক মিলনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন 

বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের জন্ম ১৯৫৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুরের মেদিনীমণ্ডল গ্রামে নানার বাড়িতে। তাঁর পৈতৃক নিবাস মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুরের লৌহজং থানার পয়সা গ্রামে। বাবার নাম গিয়াসুদ্দিন খান এবং মায়ের নাম আনোয়ারা বেগম। ব্যক্তিজীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক।

ইমদাদুল হক মিলন গল্প, উপন্যাস, নাটক এই তিন শাখাতেই তুমুল জনপ্রিয়। কিশোর বাংলা পত্রিকায় শিশুতোষ গল্প লিখে তাঁর সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ। ১৯৭৭ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রা পত্রিকায় ছোটগল্প লিখে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। ঔপন্যাসিক হিসেবে পেয়েছেন কিংবদন্তিতুল্য জনপ্রিয়তা। ‘নূরজাহান’, ‘পরাধীনতা’, ‘বাঁকাজল’, ‘ভূমিকা’, ‘নদী উপাখ্যান’, ‘কালোঘোড়া’, ‘ভূমিপুত্র’, ‘রূপনগর’, ‘কালাকাল’, ‘টোপ’, ‘এক দেশে’, ‘বনমানুষ’, ‘যাবজ্জীবন’, ‘অধিবাস’, ‘নিরন্নের কাল’, ‘পরবাস’, ‘মাটি ও মানুষের উপাখ্যান’ প্রভৃতি তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস। বাংলাদেশ ও ভারতে তাঁর ‘নূরজাহান’ উপন্যাসটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে হুমায়ুন কাদির সাহিত্য পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার প্রভৃতি। পেয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার আইআইপিএম-সুরমা চৌধুরী মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড। ২০০৬ সালে জাপান ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘তাকেশি কায়েকো মেমোরিয়াল এশিয়ান রাইটারস লেকচার সিরিজে’ বাংলা ভাষার একমাত্র লেখক হিসেবে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন।

 news24bd.tv/আলী