‘প্রহসনের পুরস্কার’ বলা কীর্তিমানদের অসম্মান করা: বিএসপিএ

সংগৃহীত ছবি

‘প্রহসনের পুরস্কার’ বলা কীর্তিমানদের অসম্মান করা: বিএসপিএ

অনলাইন ডেস্ক

গত ৩০ ডিসেম্বর ৬০ বছর পূর্তি (হীরকজয়ন্তী) উদযাপন করেছে দেশের ক্রীড়া সাংবাদিক ও লেখকদের সর্ববৃহৎ এবং প্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ)। হীরকজয়ন্তী উৎসবে বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসের সেরা ১০ ক্রীড়াবিদকে বাছাই করা হয়। নিরপেক্ষ বাছাই প্রক্রিয়া শেষে সেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় সেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার ওঠে কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিনের হাতে।

বিএসপিএ'র হীরকজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মঞ্চে দাঁড়িয়ে কাজী সালাউদ্দিন নিয়েছিলেন দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার। তখন এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি বাংলাদেশ ফুটবলার ফেডারেশনের (বাফুফে) বর্তমান সভাপতি। তবে পরদিন শনিবার বাফুফের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কাজী সালাউদ্দিন ‘দ্বিতীয় সেরা’র পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। পাশাপাশি ক্রীড়া লেখক সমিতির কার্যালয়ে সালাউদ্দিন তার ক্রেস্ট ও পুরস্কারের অর্থ ফেরত পাঠান।

রোববার বাফুফের বিবৃতির জবাব দিয়েছে বিএসপিএ। সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক সামন হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাফুফের চিঠিতে এটাকে ‘প্রহসনের পুরস্কার’ বলা হয়েছে, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। প্রথমত, বাফুফের কোনো অংশ নয় এটি। দ্বিতীয়ত, ‘প্রহসনের পুরস্কার’ বললে বাকি পুরস্কারপ্রাপ্ত কীর্তিমানদের অসম্মান করা হয়।

তবে ক্রীড়া লেখক সমিতি সম্মান জানিয়েছে সাবেক ফুটবল সুপারস্টার কাজী সালাউদ্দিনকে। কিন্তু ব্যক্তির পুরস্কার কী করে বাফুফের নির্বাহী কমিটির বিষয় হয়ে এমন প্রশ্নও রেখেছে বিএসপিএ।

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিএসপিএ।  ক্রীড়া লেখক ও সাংবাদিকদের এই সংগঠনটি ১৯৬৪ সাল থেকে বর্ষসেরা ক্রীড়া পুরস্কার দিয়ে আসছে। ক্রীড়াঙ্গনে এই সংগঠনই সর্বপ্রথম ক্রীড়াবিদদের সম্মাননা চালু করে। এই সংগঠনই প্রথম বাংলাদেশের সেরা দশ ক্রীড়াবিদ বাছাই করেছে। ক্রীড়া লেখক সমিতি খুব আধুনিক, সুন্দর ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেরাদের বাছাই করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

news24bd.tv/সাব্বির