ফরিদপুরে মদপানে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু, সংগঠনের দাবি সড়ক দুর্ঘটনা

সংগৃহীত ছবি

ফরিদপুরে মদপানে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু, সংগঠনের দাবি সড়ক দুর্ঘটনা

অনলাইন ডেস্ক

ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব (২৭) অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বোয়ালমারী খরসুতী ঈদগা কবরস্থানে রাকিবের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।  

এর আগে, সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  

তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দাবি করেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ওই ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।

 

রাকিবুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বেলজানী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা শরিফুল ইসলাম অবসরপ্রাপ্ত একজন পুলিশ সদস্য।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফের যৌথ স্বাক্ষরিত ওই শোক বার্তায় দাবি করে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ফরিদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সোমবার বিকেল আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।


এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের এ শোক বার্তার পর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে ফরিদপুরের সাংবাদিক ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ব্যক্তিরা।

জানা গেছে, রাকিবকে গত সোমবার সকাল ৯টা ১০ দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার বন্ধু পরিচয়ে আবির নামে এক তরুণ এসে ভর্তি করেন। ভর্তির জায়গায় ‘পুলিশ কেস’ সিল মারা ছিল।

ভর্তি করতে এসে আবির জানান, বমির প্রবণতা থাকায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে। ওই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এক নারী জানায় ভর্তি হওয়ার সময় রাকিবুল আরিফকে বলেছিল, ‘মদের সঙ্গে কি খাওয়ালি আমার বুক ও গলা জ্বলে যাচ্ছে’। এরপর আবিরের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে আবিরের যে মুঠোফোন নম্বরটি দেওয়া হয় তাতে ফোন করে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বমির কথা বলে রাকিবুলকে ভর্তি করা হলেও তার সমস্যা ছিল অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়া। তাকে দ্রুত আইসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজীদুল রশিদ ওরফে রিয়ান বলেন, কেন্দ্র পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করার সময় তার নাম কলম দিয়ে হাতে লিখে দিয়ে অনুমোদন করেন। রাকিবুলকে তিনি চেনেনও না। তারা যে কমিটি অনুমোদনের জন্য ঢাকা পাঠিয়েছিলেন তার মধ্যে রাকিবুলের নাম ছিল না। তবে যতটুকু জানতে পেরেছি, রাকিবুল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিল। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।  

এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আবদুল ওহাব বলেন, ঘটনাস্থল ফরিদপুরে হওয়ায় এই বিষয়ে সকল আইনগত পদক্ষেপ কোতোয়ালি থানা নেবে। এই মৃত্যু সম্পর্কে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই।