১০ এপ্রিল ১৯৯২। সেনেগালের ছোট্ট গ্রাম বাম্বালির এক মসজিদের ইমামের ঘর আলো করে আসে শিশু-পুত্র। ছোট থেকেই ফুটবলের প্রতি তার প্রবল ঝোঁক। দেশটির ‘জেনারেশন ফুট’ নামের অ্যাকাডেমিতে ছোট পায়ে লাথি দিয়ে ফুটবল জীবন শুরু।
২০১১ সালে ফ্রেঞ্চ ক্লাব মেৎজের হয়ে খেলতে নেমে ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিজের নাম লেখান। পরের বছর অস্ট্রিয়ান ক্লাব রেড বুলস স্লাজবার্গের হয়ে মাঠ মাতান দুই বছরের জন্য। ওই বছরই সেনেগালের জাতীয় দলে অভিষেক।এরপর ইংল্যান্ডে পা রেখে সাউথহাম্পটন ঘুরে যোগ দেন ঐতিহ্যবাহী ক্লাব লিভারপুলে।
যারা নিয়মিত ফুটবলে নজর রাখেন, তারা সবাই ২৬ বছর বয়সী সাদিও মানেকে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে চেনেন। মাঠে ঢোকার আগে-পরে দোয়া পাঠ আর গোল দেয়ার পর মাটিতে হাঁটু গেড়ে সিজদাহ দেয়াকে তার ট্রেডমার্ক স্টাইলই বলা চলে। ফুটবলশৈলীর পাশাপাশি এগুলোই তাকে এনে দিয়েছে তারকাখ্যাতি। তবে এবার ভিন্ন এক কারণে শিরোনামে এলেন তিনি।
গেল শনিবার প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল লিভারপুল। লেস্টার সিটির বিপক্ষের ওই ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় গোল করেন মানে। এদিন ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এক টুইটার ব্যবহারকারীর পোস্ট করা ওই ভিডিওটি দেখে অবাক ফুটবলপ্রেমী থেকে শুরু করে সবাই। এতে দেখা যায়, একটি মসজিদের টয়লেট ও ওজুখানা পরিষ্কার করছেন এই সেনেগালিজ স্টার!
লিভারপুলের হেথারল এলাকার ‘আল রহমা’ মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করেন সাদিও মানে। ফুটবলের পাশাপাশি সুবিধা বঞ্চিতদের নিয়মিত দান করেন তিনি। আর সে জন্য ক্রীড়া ও সামাজিক মহলে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অল রেড উইঙ্গার।
সূত্র: স্কাই স্পোর্টস
অরিন▐ NEWS24