ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার পবহাটি গ্রামের শিক্ষিত যুবক সোহেল রানা। আব্দুল খালেক ও আলেয়া বেগম দম্পতির ৫ সন্তানের মধ্যে সবার বড়। পিতার ৮ শতক জমির উপর বসতবাড়ি ছাড়া কিছুই ছিল না তাদের।
শহরের পবহাটি সিটি মোড়ে একটি মুদি দোকান আছে তাদের।
চরম অভাব অনটনের মধ্যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে বিএসএস কোর্স ও ২০১৮ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ কোর্স সম্পন্ন করে। অভাবের সংসারে পিতার সহযোগিতা করতে লেখাপড়ার মাঝেও ২০১২ সালে গ্রামের মাঠে ১০০ শতক জমি নিয়ে শুরু করেন পেঁপে চাষ।
এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। কয়েক বছরে ভালো লাভ করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ৭৫০ শতক জমিতে পেঁপের আবাদ করছেন। তার জমিতে উৎপাদিত পেঁপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে পাঠান তিনি। আবাদ করে যা লাভ হয়েছে তা দিয়ে করেছেন বাড়ি, বোনদের বিয়ে দিয়েছেন। এখন তিনি স্বাবলম্বী। বর্তমানে প্রতিবছর তিনি ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেন।
যুবক সোহেল রানা বলেন, আমি এক সময় খুবই কষ্ট করেছি। অভাবের সংসারে ভালোমতো লেখাপড়াও করতে পারিনি। তারপরও অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শেষ করেছি। এর মাঝেই পেঁপের আবাদ করি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আজ আমি পেঁপে চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। শুধু চাকুরীর পিছনে না ঘুরে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে চাষাবাদ করলেও ভাগ্য ফেরানো সম্ভব।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, যুবক সোহেল রানা বিভিন্ন জাতের পেঁপে আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাকে বিভিন্ন ভাবে আমরা সহযোগিতা করেছি। আগামীতেও যদি কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তাহলে তা করা হবে।
news24bd.tv/কামরুল
