শহীদ মিনারে শ্রদ্ধায় সিক্ত পঙ্কজ ভট্টাচার্য

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধায় সিক্ত পঙ্কজ ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্যের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শমরিতা হাসপাতালের মর্গ থেকে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মরদেহ শহীদ মিনারে চত্বরে নেওয়া হয়। এরপর পঙ্কজ ভট্টাচার্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন।

পরে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে 'গার্ড অব অনার' প্রদান করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাজধানীর পোস্তগোলা মহাশশ্মানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

রোববার রাতে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। প্রগতিশীল আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ছিলেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। ১৯৫২ সালে ২২ শে ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সরকারী কলেজের হাই স্কুল থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি মিছিল বের করেন।

সেই থেকে তিনি আমৃত্যু মিছিলে, সংগ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে ও সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিবেদিত ছিলেন। স্কুল জীবন শেষে ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তখন তিনি বৈরী বৈষম্যমূলক সামরিক শাসনের প্রতিবাদে সোচ্চার হন।

১৯৬২ সালে শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৩ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৬৩-৬৪ সালে ছাত্র ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১৮ জন ছাত্রনেতা ন্যাপে যোগদান করেন। ১৯৬৭ সালে স্বৈরাচারী আয়ুইব খান তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধীন বাংলার ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তিনি ১৯ দিন হাজত বাস করেন।

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অন্যান্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ১৯৭২ সালের এপ্রিলে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে ৩ জোটের রূপরেখা তৈরিতেও তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। সবশেষ তিনি ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ছিলেন।

news24bd.tv/FA