বাগেরহাটে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। ৬২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদিত বিদ্যুৎ বুধবার (২৮জুন) সকাল ৮টা ৫১ মিনিট থেকে জাতীয় গ্রিডের সরবরাহ শুরু হয়েছে। উৎপাদনের প্রথমদিনেই এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউনিটটি ১৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হয়েছে। চাহিদা থাকলে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ইউনিটির পূর্ণ ক্ষমতার ৬২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
রামপাল বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম জানান, বুধবার (২৮জুন) সকাল ৮টা ৫১ মিনিট থেকে ১৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের মধ্যদিয়ে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটিও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। বৃষ্টি ও ঈদের ছুটির কারণে গত চারদিনে দেশে বিদ্যুৎ চাহিদা কম থাকায় দ্বিতীয় ইউনিটির পূর্ণ ক্ষমতার বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়নি। চাহিদা থাকলে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ইউনিটির পূর্ণ ক্ষমতার ৬২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডের সরবরাহ করা হবে।
সরকার ২০১০ সালে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ১ হাজার ৮৩৪ একর জমিতে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সরকারের অগ্রাধিকার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ২০১২ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ভারতের এনটিসিপি লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এরপর ২০১৩ সালে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু করে রামপাল ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬২০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট।
news24bd.tvতৌহিদ
