বাঁচবে ফরহাতুল, দরকার ১৫ লাখ টাকা

ফরহাতুল মাহমুদ হাসান

বাঁচবে ফরহাতুল, দরকার ১৫ লাখ টাকা

নিউজ টোয়েন্টিফোর অনলাইন

ছোট্ট শরীরটাতে বাসা বেঁধেছে একাধিক বড় রোগ। হেপাটাইটিস সি ভাইরাস, ব্লাড ক্যান্সার এবং ই-বিটা থ্যালাসেমিয়া রোগের সঙ্গে ক্রমাগত যুদ্ধ করতে করতে নিস্তেজ হয়ে পড়েছে সারাদিন বাড়ি মাতিয়ে রাখা রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ফরহাতুল মাহমুদ হাসান। তবে আশা মিলিয়ে যায়নি। কারণ, দীর্ঘ দিনের চিকিৎসায় হেপাটাইটিস সি থেকে এখন মুক্ত ফরহাতুল।

এজন্য এরইমধ্যে খরচ হয়ে গেছে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা। নিজের সবটুকু সম্বল খরচ করার পর বাকিটা দিয়েছেন সমাজের বিত্তবান দয়ালু মানুষগুলো। এখনো বড় দুইটা রোগ তাড়া করে ফিরছে ফরহাতুলকে। সৃষ্টিকর্তা সহায় হলে বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনেই পরাস্ত হবে এ দুটি রোগ।
ফের হাসিমুখে বাড়ি মাতাবে শিশুটি। আবারও হাসপাতালের বিছানা ছেড়ে ফরহাতুলের পা পড়বে স্কুলের বারান্দায়। আর এজন্য প্রয়োজন আর ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা।

ফরহাতুলের বাবা মো. সাদেকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ চিকিৎসার পর হেপাটাইটিস সি থেকে মুক্ত হয়েছে আমার ছেলে। মানুষের দোয়া আর সহযোগিতার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। হেপাটাইটিস সি থেকে মুক্ত হওয়ার আরেকটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে, এর ফলে বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন করা যাবে ফরহাতুলের শরীরে। তাহলেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে সে। তবে যত দ্রুত এই চিকিৎসা করানো যাবে ঝুঁকি ততোটাই কম। হাতে আছে মাসখানেক। চিকিৎসা হবে ভারতের চেন্নায়ের অ্যাপোলো ক্যান্সার হাসপাতালেই। ওই হাসপাতালের ডা. রেবতী রাজের চিকিৎসাধীন আছে ফরহাতুল। গত ৬ সেপ্টেম্বের ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে তাকে।

তিনি বলেন, ফরহাতুলের বোন ম্যারো প্রায় ৯০ শতাংশ মিলে যায় মা শিউলি বেগমের সাথে। তবে এই বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের জন্য খরচ হবে আরও ১০ থেকে ১৫  লক্ষ টাকা। এরইমধ্যে আমার যা ছিল সবই খরচ করে ফেলেছি। পৌনে এক কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। অনেকের কাছ থেকে ধার করেছি। অনেক শুভাকাঙ্ক্ষি মহৎ মনের মানুষ সহযোগিতা করেছেন। এ কারণে আজ আমার ছেলে সুস্থতার পথে। কিন্তু, ফরহাতুলকে সুস্থ করতে বাকি টাকা এত দ্রুত জোগাড় করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

ফরহাতুল মাহমুদ হাসানের ৮ বছরের ছোট্ট শরীরে অনেকটা হঠাৎ করেই যেন বাসা বাঁধে তিনটি মরণঘাতি রোগ। হেপাটাইটিস সি ভাইরাস, লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার এবং ই-বিটা থ্যালাসেমিয়া। প্রাণোচ্ছ্বল শিশুটি কয়েকদিনের মধ্যেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর শুরু হয় হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে দৌড়ঝাপ। অবশেষে ভারতের চেন্নাই। সহায়-সম্বল বিক্রি করে চলতে থাকে চিকিৎসা। দীর্ঘ চিকিৎসায় বর্তমানে হেপাটাইটিস সি থেকে মুক্তি পেয়েছে ফরহাতুল। চিকিৎসকরা বলেছেন, বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন করলে মুক্তি মিলবে বাকি রোগ দুটি থেকে। এজন্য দরকার আর ১০-১৫ লাখ টাকা। বাকি এই টাকা জোগাড় করতেই এখন চেষ্টা চালাচ্ছেন ফরহাতুলের বাবা-মা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন করা না গেলে সংকটে পড়তে পারে ফরহাতুলের জীবন। এ অবস্থায় ছেলের চিকিৎসায় সমাজের বিত্তবান দয়ালু মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে আছেন ফরহাতুলের বাবা সাদেকুল ইসলাম এবং মা শিউলি বেগম।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা

মো. সাদেকুল ইসলাম

সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর : ১২৬৩০১০০০০০৮৩৮৮ (ইউসিবিএল, বনশ্রী শাখা)

সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর : ১৯২২১০৭০০১০৪৪০ (প্রাইম ব্যাংক, বনশ্রী শাখা)

এ ছাড়াও বিকাশ করতে পারেন এই নম্বরগুলোতে: ০১৮৬৪ ২৯১৩২৮, ০১৯৭৯ ৬৪৪৮৮৮, ০১৯৭৯ ৩৪৪৬৬৬

সম্পর্কিত খবর