দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আমনে লোকসানের আশঙ্কা

আষাঢ়-শ্রাবণেও বৃষ্টি নেই

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আমনে লোকসানের আশঙ্কা

জাহিদুজ্জামান, কুষ্টিয়া

আষাঢ়-শ্রাবণেও ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আমন ধান চাষের অনেক জমিই এখনো অনাবাদী পড়ে আছে। যারা আমন ধান রোপণ করেছেন ভূগর্ভস্থ্য পানি দিয়ে সেচ দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। সেচ দেওয়ার একদিন পরই শুকিয়ে যাচ্ছে ক্ষেত।

এতে করে একদিকে যেমন আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।

অন্য দিকে সেচের খরচ বাড়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষক। তবে, কৃষি বিভাগ অবশ্য এখনো আশাবাদী।

আষাঢ় মাসে বর্ষার পানিতে আমন ধান রোপণ হয়ে থাকে। যেটুকু বাকী থাকে তা শেষ হয়ে যায় শ্রাবণের শুরুতেই।

কিন্তু এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে এখনো অনেক জমি পড়ে আছে অনাবাদী। ডিজেল খরচ করে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি তুলে চাষ করতে হচ্ছে কৃষকদের। এ কারণে অনেক কৃষকই কিছুটা জমিতে আমন ধান রোপণ করে বাকীটা ফেলে রেখেছে।

একেতো সার-বীজ ও লাঙলের খরচ বেড়ে চলেছে। তারওপর এবার বর্ষা মৌসুমে আমনে কৃত্রিম সেচ দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। একবিঘা জমি প্রস্তুত থেকে আমনের চারা রোপণ পর্যন্তই খরচ হয়ে যাচ্ছে ৫ হাজার টাকা। তারপরও আবার সেচ দেওয়ার একদিন পরই ধানক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। এভাবে খরচ বাড়ায় লোকসানের আশঙ্কা কৃষকদের।

কৃষি বিভাগ এবার কুষ্টিয়া জেলায় আটাশি হাজার নয়শত ঊনিশ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে। অনাবৃষ্টির কারণে কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা করলেও কৃষি বিভাগ শোনাচ্ছে আশার কথা।

news24bd.tvতৌহিদ