চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার 

সংগৃহীত ছবি

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার 

শেরপুর প্রতিনিধি 

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ঘটনার ভিডিও ধারণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ময়দান আলী নামে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধকে  গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে গ্রেপ্তারের পরদিন সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২ আগস্ট ভুক্তভোগী শিশুর নানি বাদি হয়ে উপজেলার মরিচপুরান গ্রামের মৃত জহুর আলীর ছেলে ময়দান আলী, ভুট্টু মিয়ার ছেলে অন্তর মিয়া (২৪) ও সাদিকুর রহমানের ছেলে মুনায়েমসহ (২৩) তিন জনকে আসামি করে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।  

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুলাই দুপুরে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে  ওই ছাত্রীকে নিজ বসতঘরে ডেকে নেয় ময়দান আলী।

এ সময় ওই ঘরে অন্তর ও মুনায়েম অবস্থান করছিল। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে মুখ চেপে পালাক্রমে ময়দান আলী ও অন্তর ধর্ষণ করে এবং মুনায়েম মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে৷ একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়লে অভিযুক্তরা মাথায় পানি ঢেলে তাকে সুস্থ করে তোলে । পরে এ ঘটনার কথা কাউকে জানালে খুন করার হুমকি দিয়ে শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয়।  

এদিকে ধর্ষণের সময় ধারন করা ভিডিও একসময় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

পরে পরিবারের লোকজন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জেনে গত ২ আগস্ট ভুক্তভোগীর নানি বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।  

ভুক্তভোগীর শিশুর নানি বলেন, বাপ-ছাড়া মেয়েটারে আমিই মানুষ করবার দায়িত্ব নিছিলাম৷ স্কুল থেকে ফেরার পথে ময়দান, অন্তর আর মুনায়েম আমার অবুঝ নাতির সর্বনাশ করছে৷ আমি চাই, এর সঠিক বিচার হোক৷ 

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, ওই ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে রোববার নালিতাবাড়ী থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে ময়দান আলী নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷ 

news24bd.tv/আইএএম