মাদারীপুরে শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণ

সংগৃহীত ছবি

মাদারীপুরে শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণ

অনলাইন ডেস্ক

‘শুভ কাজে সবার পাশে’ এই স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ও বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে দুইশতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে মাদারীপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে শুভসংঘের ব্যবস্থাপনায় এই শিক্ষা উপকরণ ও খাবার প্রদান করা হয়।  

এ সময় দুইশতাধিক ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা উপকরণ হিসেবে খাতা-কলম, পেনসিল পেয়ে আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় গত বছর সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়।

স্কুলটিতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হচ্ছে। এ স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পরিবারই নিম্নআয়ের মানুষ। এসব শিক্ষার্থীরা আগে কোন স্কুলে লেখা পড়া করতো না। বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে বিনামুল্যে পাঠদান করানো হচ্ছে।

এতে করে খুশি শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবকরাও। দুই শতাধিক ক্ষুদে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এই শিক্ষা উপকরণ পেয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, মাদারীপুর জেলা কমিটির সভাপতি ওহিদুজ্জামান কাজল, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন, পেয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সানজিদা ইসলাম তানিয়াসহ বসুন্ধরা শুভসংঘের বিভিন্ন স্তরের স্বেচ্ছাসেবক ইসরাত জাহান, অধরা, মিথিলা, আল-আমিন, দিদার, নোমান, সিহাবসহ আরো অনেকে।  

আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা হামিদা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে স্কুল দূরে থাকার কারণে স্কুলে যাইতো না।

আমরা গরিব মানুষ, মেয়ের স্কুল পোষাক ভালো না থাকায় স্যারেরা লজ্জা দিতো। ও বাড়ি আইস্যা কান্নাকাটি করতো। তাই ওরে ওই স্কুলে আর পাঠাইতাম না। বসুন্ধরার স্যারেরা এখানে একটা স্কুল দিছে। আমার মেয়ে এখন এই স্কুলে পড়ে। এখানে সবকিছু ফ্রি দেয়। এতে আমরা খুব খুশি। ’ 

বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষক নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আমাদের এখানে ২/৩ কি.মির মধ্যে কোনো স্কুল নেই। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই মহতি উদ্দোগের কারণে আশ্রয়ণ প্রকল্প ও আশপাশের সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা লেখাপড়া শিখতে পারছে। আমিও অত্যন্ত খুশি যে, এই সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের লেখাপড়া শিখাতে পারছি। এ জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ’

শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, ‘শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষার্থীরা যতদূর পড়তে চায়, ততদূর পর্যন্ত তাদের বৃত্তি দেওয়া হবে। অভাবে পড়ে একটি শিশুও যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে কারণে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের সরাসরি নির্দেশে এইসব মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ’