কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে নিরাপদ আছে ১০ মাসের মাহিদা

শিশু মাহিদা, সংগৃহীত ছবি।

হাইকোর্টকে জানালো কারা কর্তৃপক্ষ

কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে নিরাপদ আছে ১০ মাসের মাহিদা

অনলাইন ডেস্ক

হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মায়ের সঙ্গে ১০ মাসের শিশু মাহিদা নিরাপদে আছে। কারাগারে শিশুদের দেখভালের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার রয়েছে। সেখানে মাহিদার দিনরাত কাটছে। শিশু খাদ্যের ব্যবস্থা রয়েছে।

 কারা কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রোববার (২১ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৭ ডিসেম্বর হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মায়ের সঙ্গে ১০ মাসের শিশু মাহিদা থাকার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

শিশুটি ফাঁসির সেলে কি অবস্থায় আছে, শিশুকে কি কি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। আইজি প্রিজন্স ও হবিগঞ্জের সিনিয়র জেল সুপারকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় মায়ের মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ায় মায়ের সঙ্গেই ফাঁসির সেলে বন্দি আছে ১০ মাসের শিশু মাহিদা। এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে নিহত গৃহবধূ আয়েশা আক্তারের বাবা আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলার আসামিরা হলেন,  চুনারুঘাট থানার সাদেকপুর গ্রামের নিহত আয়েশা আক্তারের স্বামী রাসেল মিয়া, রাসেল মিয়ার মা তাহেরা খাতুন, ভাই কাউছার মিয়া, বোন রোজি আক্তার ও হুছনা আক্তার। মামলায় পাঁচ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে গত ২৬ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক জাহিদুল হক। আসামি কাউছার মিয়া পলাতক। অন্য আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রায় ঘোষণার দিন মা হুছনা আক্তারের সঙ্গেই আদালতে এসেছিল ১০ মাসের শিশু মাহিদা। রায় ঘোষণার পর মায়ের সঙ্গে মাহিদার জায়গা হয় হবিগঞ্জ কারাগারের ফাঁসির সেলে। হত্যাকাণ্ডের সময় হুছনা আক্তার কলেজে লেখাপড়া করতেন। প্রায় দুই বছর আগে একই গ্রামের মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

জেল কোডের ৭৩৫ বিধিতে সেলের কথা বলা হলেও এর আয়তন কেমন তার উল্লেখ নেই। তবে জানা গেছে, বিভিন্ন কারাগারে ৬ ফুট বাই ৬ ফুট থেকে ১০ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের সেল রয়েছে। হবিগঞ্জ কারাগারে নারী বন্দিদের জন্য দু’টি সেল রয়েছে। হবিগঞ্জ কারাগারে ফাঁসির সেলের আয়তন  প্রায় ১০ ফুট বাই ১০ ফুট। দু’টি সেলের একটিতে রয়েছেন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ষাটোর্ধ্ব তাহেরা খাতুন, তার মেয়ে রোজি আক্তার। অন্যটিতে হুছনা আক্তার ও হুছনা আক্তারের ১০ মাসের কন্যা মাহিদা আক্তার। দিনের বেলা মাহিদাকে ডে সেন্টারে রাখা হয়।  

news24bd.tv/ডিডি

এই রকম আরও টপিক