চট্টগ্রামে পরিবহনে চাঁদাবাজি, ৩০ জন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে পরিবহনে চাঁদাবাজি, ৩০ জন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে পরিবহনে চাঁদাবাজি, ৩০ জন গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম মহানগরীতে পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ৩০ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নগরীর চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথায় যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায়কারী ১৩ জন, বালুর টাল এলাকায় চাঁদা আদায়কারী ৪ জন, পাহাড়তলী থানার হোটেল মেরিন সিটির সামনে থেকে যাত্রীবাহী মিনিবাস থেকে চাঁদা আদায়কারী ৪ জন, আকবরশাহ এবং এ কে খান মোড় থেকে ৩ জন এবং বায়েজিদ থানার অক্সিজেন মোড় থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চান্দগাঁও র‌্যাব ক্যাম্পের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম।  

র‌্যাব জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ফেনী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রাম মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে অবৈধ উপায়ে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে।

বিশেষ করে চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ৬ ফেব্রুয়ারি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-৭। অভিযানে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০ জন চাঁদাবাজকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, নগরীর চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথায় রিয়াদ এবং বখতিয়ার উদ্দিন সিকদারের নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চান্দগাঁও থানার বালুর টাল এলাকায় রুবেল ওরফে ইয়াব রুবেল এবং মিজানের নেতৃতে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পাহাড়তলী থানা এলাকায় মো. পেয়ার আহম্মেদের নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে ৪ জনকে, আকবরশাহ এবং এ কে খান মোড় এলাকায় নারায়ন দে’র নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে ৩ জনকে, অক্সিজেন মোড় এলাকায় মো. সোহেলের নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দেশের সব শ্রেণির লোকজন বাজার করতে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহনে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পৌঁছানোর সময় নামে-বেনামে ভুয়া রশিদ, কখনো কৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ চাঁদাবাজি করা হয়।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা, দস্যুতা, লুণ্ঠন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতিসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

news24bd.tv/aa