স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মোটরসাইকেল থামিয়ে বিপদে পুলিশ

কনস্টেবলকে মারতে উদ্যত হন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মোটরসাইকেল থামিয়ে বিপদে পুলিশ

রাজশাহী প্রতিনিধি 

রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুর কর্মীর মোটরসাইকেল থামিয়ে বিপদে পড়েছে পুলিশ সদস্য সাদিকুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহী আগমণকে কেন্দ্র করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপশহর এলাকায় চেকপোস্ট বসায় উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ি। সেখানে হেলমেট ছাড়া এক মোটরসাইকেলে তিন আরোহীকে থামায় পুলিশ কনস্টেবল সাদিকুল ইসলাম। তারা রাসিক মেয়রের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী ও মহানগর স্বেচ্ছেবেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুর কর্মী পরিচয় দেন।

পরে পুলিশ তাদের ছেড়ে দিলেও কিছুক্ষণ পর সেই তিন আরোহীকে নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আসেন আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু। সেখানে এসেই চড়াও হন কনস্টেবল সাদিকুল ইসলামের উপর।

উত্তেজিত অবস্থায় চেয়ার ছেড়ে মারতে উদ্যত হন কনস্টেবল সাদিকুল ইসলামকে। বলতে থাকেন, ‘তুই একটা সামান্য হাবিলদার।

আমি মেয়রের পিএস না থাকলেও প্রথম শ্রেণির অফিসার। একটা হাবিলদার হয়ে আমার সম্পর্কে কথা বলতে পারে। এইটা ব্যাটা কী আকাম করেছি, আমার সম্পর্কে কথা বলেন। ’

ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী কনস্টেবল সাদিকুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমণের উপলক্ষে উপশহর চেকপোস্টে দায়িত্বে ছিলাম। এক মোটরসাইকেলে তিনজন হেলমেট ছাড়া যাচ্ছিল। তাদের থামালে টিটু নামের একজনের পরিচয় দেয়। কোন টিটু জানতে চাইলে টিটু মেয়রের পিএস বলে জানায়। আমি তাদের বলি সে তো আর পিএস নাই। আর আপনারা এভাবে হেলমেট ছাড়া তিনজন এক গাড়িতে ঘুরবেন না। তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সও ছিল না। তারপরও ছেড়ে দিই। একটু পরেই টিটু সেই তিনজনকে এসে আমাকে লাঞ্চিত করে। আমি একজন ছোট অফিসার, আমার কী করার আছে। ফাঁড়ির ইনচার্জকে  জানিয়েছি, তিনি কী ব্যবস্থা নেবেন জানি না।

তবে ভিডিওতে দেখা গেছে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আরিফুল ইসলামকে টিটুর তোষামোদি করতেই দেখা যায়। ফাঁড়ির মধ্যে এমন ঘটনা ঘটলেও নির্বিকার ছিলেন তিনি।

এ ব্যাপারে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, ফাঁড়ির অভ্যন্তরে কোনো পুলিশ সদস্যকে লাঞ্চিত করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

news24bd.tv/SHS

এই রকম আরও টপিক