নির্বাচনের আগে ভারতে মোদির বিরোধী শিবির ঠেকানোর ফর্মুলা 

নরোদ্র মোদি--ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ফাইল ছবি।

নির্বাচনের আগে ভারতে মোদির বিরোধী শিবির ঠেকানোর ফর্মুলা 

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। ভারতের রাজনীতির ময়দান সরব।  ১৯শে এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। ফলাফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।

লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করে থাকে। ফলে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোদি সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে আবার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে জিতে ক্ষমতায় যেতে। এজন্য বিজেপি যেমন চালাচ্ছে প্রচার-প্রচারণা তেমনই বিরোধী শিবিরকে বিভিন্নভাবে ঘায়েল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।  
যেমন নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং মোদির অন্যতম কট্টর সমালোচক অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গত বৃহস্পতিবার  গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে অনেকেই দেখছেন।
সিএনএন এ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে। ।
কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী  বলেছেন, কংগ্রেসের ব্যাংক একাউন্ট থেকে অনেক বেশি আয়কর কেটে নেওয়া হয়েছে। অথচ বিজেপির একাউন্টে ১০ গুণ বেশি টাকা থাকা সত্তেও আয়কর নামেমাত্র কাটা হয়েছে।  
কেজরিওয়াল ও তার দলের বিরুদ্ধে কিছু অ্যালকোহল ডিলারদের পক্ষ নেওয়া ও বাতিল করা মদ নীতির বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রচারে অর্থায়নের জন্য বেআইনি অর্থ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার দল অভিযোগ করেছে যে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের পিছনে একটি ‘বিশাল ষড়যন্ত্র’ রয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
অন্যদিকে মোদির বিজেপিই মদনীতির পক্ষে সবসময় অবস্থান করে আসছে অলিখিতভাবে।  
 আম আদমি পার্টি দাবি করেছে যে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি জব্দ করায় ২ কোটি ডলারের তহবিল ব্যবহার করা যায়নি।  
একই ধরনের অভিযোগ তুলে দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন  নির্বাচনী প্রচারণার দুই মাস আগে এটা করা হচ্ছে। এটি কংগ্রেস দলের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি পদক্ষেপ।
এছাড়া মোদি সরকার যেসব কেন্দ্রে বিজেপির প্রভাব কম সেসব কেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বাড়তি নজরদারি বাড়িয়েছেন। যাতে ভোটারদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।  news24bd.tv/ডিডি