কুড়িগ্রামে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনে যাচ্ছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক।

কুড়িগ্রামে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’

হুমায়ূন কবীর সূর্য

ভূটান সরকারের অর্থায়নে ধরলা নদীর পাশে গড়ে উঠবে ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’। যার নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনে যাচ্ছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক। এই ঘোষণায় খুশি কুড়িগ্রামবাসী। এছাড়া-আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বাণিজ্যিক হাব হওয়ার মধ্য দিয়ে খুলে যাবে সম্ভাবনার দুয়ার, পাল্টে যাবে এই অঞ্চলের দৃশ্যপট- বলছেন বিশিষ্টজনেরা।

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে প্রথম বিদেশি কোনো রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পা রাখতে যাচ্ছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক। উদ্দেশ্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন। তাকে বরণ করে নিতে চলছে নানা প্রস্তুতি। তৈরি করা হয়েছে বিশেষ মঞ্চ।

২০২৩ সালে লন্ডনে এক দ্বিপক্ষীয় সভায় ভুটানের রাজা-রানীকে কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তারা সম্মতি জানালে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর পাশে মাধবরাম গ্রামে স্থান নির্ধারন করা হয়।  

ভুটান রাজার আগমনে উচ্ছ্বসিত কুড়িগ্রামবাসী। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ভাগ্য পাল্টানোর স্বপ্ন দেখছেন অনেকে।

স্থানীয় একজন বলেন, অনেকদিন ধরে আমাদের দাবি ছিল এখানে একটা অর্থনৈতিক অঞ্চল হোক। আরেকজন বলেন, এখানে উন্নয়ন করতে পারলে আমাদের ২৫ লাখ মানুষের আর্থ সামাজিক ও দারিদ্রের অনেক উন্নয়ন হবে। নারী ও পুরুষ উভয়ের কর্মসংস্থান হলে এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল সার্থকতা পাবে।
 
অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সোনাহাট স্থলবন্দর চালু, পার্শবর্তী লালমনিরহাট জেলার পরিত্যক্ত বিমানবন্দর ও রেলপথ চালু করার দাবি বিশিষ্টজনদের।

সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু বলেন, স্থলবন্দর ও রেলব্যবস্থা যদি চালু করা যায় তবে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি কার্যকর হবে।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এখানকার শিক্ষার্থীরা সেখানে সাময়িক কাজ করার সুযোগ পাবে, গবেষণা করার সুযোগ পাবে।  

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে এখানকার মানুষদের ব্যপক উন্নয়ন হবে।  

অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তপক্ষ-বেজাকে ১৩৩ দশমিক ৯২ একর খাসজমি হস্তান্তর করা হয়েছে। যেখানে নিজস্ব অর্থায়নে অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু করবে ভুটান সরকার। এটি চালু হলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বাড়বে বিনিয়োগের সুযোগ।

news24bd.tv/DHL