যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশে শনিবার পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় নফল নামাজ ও জিকির-আজগারের মাধ্যমে রাতটি কাটান। মসজিদে-মসজিদে ও বাসায় রাতব্যাপী ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন নারী-পুরুষরা। মোনাজাতে মুসল্লিরা চোখের পানিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।
রাসুল (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতে কদরের রাত অনুসন্ধান করতে বলেছেন। পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁরা মহান আল্লাহর কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
এদিকে গতকাল বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র শবেকদর উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘পবিত্র শবেকদরের ফজিলত ও তাৎপর্য’ বিষয়ে আলোচনা করেন যাত্রাবাড়ীর জামেআ ইসলামিয়া কুতুবখালী জামে মসজিদের মুহতামিম মুফতি মাওলানা সাকিবুল ইসলাম।
আরবি শব্দ ‘লাইলাতুল’ অর্থ রাত এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ মর্যাদা। লাইলাতুল কদর অর্থ মহিমান্বিত রাত। লাইলাতুল কদর সৌভাগ্য বয়ে আনে। এ রাতে মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারিত হয়। এ কারণে কদরের রাত অত্যন্ত পুণ্যময়। এ রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।
news24bd.tv/DHL