পাকিস্তান রাশিয়ার তৈরি পান্তসির ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা ও টি-৯০ ট্যাংক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রচার করে।
প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারির মাসের ২৬ তারিখে বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলার পর পাকিস্তান এ সব তৎপরতা জোরদার করেছে।
‘মধ্যম পাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান বিধ্বংসী গোলন্দাজ অস্ত্র পান্তসির।
এটি কেনার চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য মস্কো প্রতিনিধি পাঠানোর পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান। পাশাপাশি এ অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের রাশিয়া পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পাকিস্তান। ’ভারতের বিরুদ্ধে রণশক্তি জোরদারের অংশ হিসেবে রাশিয়া থেকে ট্যাংক বহর কেনার পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান। এর আগে প্রকাশিত খবরে এমনটাই বলা হয়।
এ পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসলামাবাদের টি-৯০ ট্যাংক তিনশ ৬০টি কেনার কথা রয়েছে।
রাশিয়া থেকে পাকিস্তানের অস্ত্র সংগ্রহের তৎপরতার বিষয়ে ভারত ওয়াকিবহাল রয়েছে। ভারতের সব ঋতুর বন্ধু হিসেবে পরিচিত রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বিষয়ক গভীর সম্পর্ক স্থাপনে অতিমাত্রায় তৎপর রয়েছে পাকিস্তান।
এমন তৎপরতা এরই মধ্যে পাকিস্তানকে সুফল এনে দিয়েছে। পাক-রুশ যৌথ সামরিক মহড়ার মধ্য দিয়ে সে সুফলের প্রকাশ ঘটেছে। আর এ ঘটনা নয়াদিল্লির জন্য খানিকটা হলেও উদ্বেগের বার্তা নিয়ে এসেছে।
এদিকে চীন থেকে আরও ছয়শ ট্যাংক কিনছে পাকিস্তান। ভারত মনে করছে বর্তমানে পাকিস্তানের বহরের ৭০ শতাংশ ট্যাংকেরই যুদ্ধ সক্ষমতা রয়েছে। দেশটির ট্যাংক বহরের এ সক্ষমতা ভারতের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
পাশাপাশি পাকিস্তানের কাছে ‘রেইনবো’ নামের দূরপাল্লার, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চালকহীন বিমান বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। রেইনবোর সিএইচ-৪ এবং সিইএইচ-৫ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
৫০০০ কিলোমিটার পাল্লার সিইএইচ৪ চারশ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক নিয়ে টানা ৪০ ঘণ্টা আকাশে থাকতে পারে।
অন্যদিকে সিএইচ-৫ এক হাজার কেজি বিস্ফোরক নিয়ে আকাশে থাকতে পারে টানা ৬০ ঘণ্টা। এটি ১৭ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়তে পারে।
এদিকে, ফেব্রুয়ারি মাসে ইসরাইল থেকে আক্রমণের কাছে ব্যবহার যোগ্য ৫৪টি হারোপ নামের চালকহীন বিমান কেনার অনুমোদন দিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়ার সক্ষমতা আছে হারোপের। ভারতের অস্ত্রাগারে এরকম প্রায় ১১০টি চালকহীন বিমান রয়েছে। ভারত এ চালকহীন বিমান বা ড্রোনের নাম দিয়েছে পি-৪।
অন্যদিকে, চীনা চালকহীন বিমান পাওয়ার আগে হামলার কাজে ব্যবহার যোগ্য কোনও ড্রোন পাকিস্তানের ছিল না।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)