পুরো বিশ্বকে একপাশে রেখে সৌদি আরব আর ইসরায়েলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে চলছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এই পথচলা বুঝি আর দীর্ঘ হলো না। পবিত্রভূমি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করায় এবার ট্রাম্পের ওপর চটেছে সৌদি আরব। প্রকাশ্যে তারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে 'অন্যায্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও ঘোষণা দিয়েছে।
ট্রাম্পের এ ঘোষণাকে ইসরায়েল 'ঐতিহাসিক দিন' হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে বজায় রাখা মার্কিন নীতির উল্টো পথে হেঁটেছেন ট্রাম্প। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিষয়গুলোর একটি এই জেরুজালেম।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে আটটি দেশ এই ইস্যুতে জরুরি সভা আহ্বান করেছে।
এদিকে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন বিশ্ব নেতারা।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস বলেছেন, এটা হলো গভীর হতাশার একটি মুহূর্ত। দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের কোনো বিকল্প নেই।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় কোনো সহায়ক হবে না।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ প্রতিবাদ হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক সমস্ত মুসলিমকে জেগে উঠার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যেকোনো স্থানের মুসলিমদের এটা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিতে হবে যে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণার কড়া নিন্দা জানাচ্ছি।
উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো। তারা উভয়েই বলেছেন, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে তাদের সমর্থন নেই।
ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের প্রধান কূটনীতিক ফেদেরিকা মোঘেরিনি বলেছেন, দুই রাষ্ট্রের সমাধানে বিশ্বাস করে ইইউ। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়ায় আঘাত হানতে পারে এমন যেকোনো পদক্ষেপ এড়িয়ে চলা উচিত।