কোরবানির দুই প্রকারের মধ্যে একটি হলো শুকুর বা হজের কোরবানি এবং অপরটি হচ্ছে ঈদুল আজহার কোরবানি। অনেক হাজিগণ বিষয়টি না জানার কারণে শুধুমাত্র একটি কোরবানি করে থাকেন। আর ঈদুল আজহার কোরবানি করেন না। অথচ কোনো কোনো হাজিদের ওপর ঈদুল আজহার কোরবানিও ওয়াজিব হয়ে থাকে। হজের কোরবানি: যে সকল হাজিগণ একই সফরে ওমরা ও হজ পালনের মাধ্যমে দুটি ইবাদত করে থাকেন। তাদের জন্য শুকরিয়া স্বরূপ একটি কোরবানি করা ওয়াজিব। এ কোরবানিকে হজের কোরবানি বলা হয়। এটি ঈদুল আজহার কোরবানির অন্তর্ভুক্ত নয়। ঈদুল আজহার কোরবানি: যে সকল হাজিগন মক্কা মুকাররামা, মীনা, আরাফা ও মুজদালিফায় কোরবানির দিনগুলোসহ ১৫ দিন বা তার বেশি সময় অবস্থান করবেন তারা মুকিম বলে গণ্য হবেন। তাদের ওপর ঈদুল আজহার কোরবানিও ওয়াজিব হবে। ফলে তাদেরকে দুটি কোরবানি করতে হবে। একটি হজের কোরবানি এবং অপরটি হচ্ছে ঈদুল...
ঈদুল আজহা ও হজের কোরবানি দুইটাই দিতে হবে, নাকি একটা?
অনলাইন ডেস্ক

নবীজি (সা.)-এর ওপর মিথ্যারোপের ভয়াবহতা
মাইমুনা আক্তার

পৃথিবীর যত জঘন্য অপরাধ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো রাসুল (সা.)-এর সম্পর্কে মিথ্যাচার করা। অর্থাৎ তিনি যা বলেননি, তা তাঁর নামে চালিয়ে দেওয়া কিংবা তাঁর সুস্পষ্ট নির্দেশ অস্বীকার করা। রাসুল (সা.)-এর ওপর মিথ্যার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে মুগিরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, আমার ওপর মিথ্যারোপ অন্য কারও ওপর মিথ্যারোপের মতো নয়। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার নামে মিথ্যা বলবে, সে যেন জাহান্নামে নিজের জায়গা ঠিক করে নেয়। (বুখারি, হাদিস: ১২৯১) অর্থাৎ, রাসুল (সা.)-এর নামে মিথ্যা বলার শাস্তি জাহান্নাম। এটি এত বড় গুনাহ যে যারা তা করে, তারা আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত হয়। তাঁর শানের পরিপন্থী উক্তি করা কিংবা মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ভয়ঙ্কর অপরাধ। এরকম একজন অভিশপ্ত মানুষের উদাহরণ পাওয়া যায় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগেই, নবীজির শানের...
শহীদ পরিবারের প্রতি নবীজি (সা.)-এর সদয় আচরণ
আবু তাশফিন

মদিনার বিখ্যাত খাজরাজ গোত্রের বনু সালামা শাখার সন্তান হজরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.)। তাই তাঁকে আস-সালামি বলা হয়। তিনি ছিলেন শহীদ পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা হজরত আব্দুল্লাহ (রা.) উহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। তাই রাসুল (সা.) হজরত জাবির (রা.)-কে খুব ভালোবাসতেন। তাঁর ও পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখতেন। এখানে এ-সংক্রান্ত কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো। (ক) শাহাদত বরণের সময় জাবির (রা.)-এর বাবা হজরত আবদুল্লাহ (রা.) অনেক ঋণ রেখে যান। অন্যদিকে খেজুরের দুটি বাগান ছাড়া অতিরিক্ত কোনো সম্পদ ছিল না তাদের। বাগানের ফলও ঋণ পরিশোধের জন্য যথেষ্ট ছিল না। পাওনাদাররা ভিড় জমাতে থাকেন হজরত জাবির (রা.)-এর কাছে। কোথা থেকে এই ঋণ শোধ করবেনএ চিন্তায় তিনি যান রাসুল (সা.)-এর কাছে। তিনি যেন পাওনাদারদের কিছু ঋণ মাফ করার জন্য অনুরোধ করেন। রাসুল (সা.) সুপারিশ করেন, কিন্তু পাওনাদাররা (যারা ইহুদি ছিল) রাজি...
সম্রাট আকবরের হজযাত্রা
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

৭ অক্টোবর ১৫৭৬। রাজদরবারে পিনপতন নিরবতা, ভক্তি, ভালোবাসা ও আধ্যাত্মিকতার আবহে পরিপূর্ণ। হীরা, জহরত ও দামী অলঙ্কারে সজ্জিত রাজদরবার আজ যেন শিল্পীর আঁকা স্থির চিত্র মাত্র। দরবারের সভাসদ ও মন্ত্রীবর্গযারা ঝলমলে পোশাক পরিধান করে আছেন, যাদের কোমরে শোভা পাচ্ছে ঐশ্বর্যের তরবারি তাদের মুখমণ্ডলে গর্ব-গরিমার পরিবর্তে প্রস্ফূটিত হয়েছে পবিত্র আভা। রাজপ্রহরীরাও আজ অশ্রুসিক্ত আর হূদয় আবেগে উদ্বেলিত। কেননা আজ তারা এমন দৃশ্য দেখছে যা ভারতবর্ষের ইতিহাসে আগে কখনো দেখা যায়নি। সম্রাট আজ রাজকীয় পোশাক, অলঙ্কার ও মুকুট পরিধান করে নয়, বরং তিনি ইহরামের দুই টুকরো সাদা কাপড় পরে দরবারে প্রবেশ করেছেন। আজ তাঁর পায়ে স্বর্ণের সুতোয় সেলাই করা নকশাকার জুতাও নেই। তিনি খালি পায়ে, খালি মাথায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশ্যে কথা বলছেন। তাঁর মাথার চুলও এক পাশে মুণ্ডন করা। আজ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর