বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, মৌসুমি জলবায়ু এবং কৃষিনির্ভর অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে পানি ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ছিল চরম হুমকির সম্মুখীন। এই সংকটে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গৃহীত খাল খনন কর্মসূচি ছিল একটি সময়োপযোগী অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগ। এটি কেবল একটি অবকাঠামোগত প্রকল্প ছিল না বরং এটি ছিল জনমুখি দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ যা সেচ, খাদ্য উৎপাদন, জনশ্রম, এবং গ্রামীণ উন্নয়নের এক বিস্তৃত নেটওয়ার্ক বা সমন্বিত প্রয়াস রচনা করেছিল। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব, ক্রমবর্ধমান ও অপরিকল্পিত নগরায়ন, নদী নালা ও খালবিল দখলের প্রবণতা, দুর্নীতি তাড়িত সেচ ব্যবস্থাপনা এবং পানি সঞ্চয়ের ঘাটতি এই কর্মসূচিকে...
তারেক রহমানের উদ্যোগে শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক অর্থনৈতিক দর্শনের পুনর্জাগরণ
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এ কে এম শামছুল ইসলাম

হাসিনার আওয়ামী লীগে প্রকৃতির প্রতিশোধ
মন্জুরুল ইসলাম

১৯৪৯ সাল থেকে ২০২৫। সময়ের হিসাবে ৭৬ বছর। প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বয়স ৭৬ বছর। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শামসুল হক, আতাউর রহমান খান, আলী আমজাদ খান, আহমেদ আলী খান, শাখাওয়াত হোসেন, আবদুস সালাম খান, ইয়ার মোহাম্মদ খান, শেখ মুজিবুর রহমানসহ বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতা দলটির জন্ম দিয়েছেন। এ দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের যত বিখ্যাত তারকা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, প্রায় ৭০ ভাগই ছিলেন এ দলটির তৈরি। একসময় এ দলের কর্মী হওয়া ছিল গর্বের বিষয়। স্বাধীন দেশে আওয়ামী লীগ নামের সঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদ, খন্দকার মোশতাক আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ মনসুর আলী, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের নামও পরিচিত হয়। মিজানুর রহমান চৌধুরী, জিল্লুর রহমান, ড. কামাল হোসেন, সিরাজুল আলম খান, কাজী আরেফ আহমেদ, আ স ম...
রাষ্ট্র সংস্কারের এক অপরিহার্য হাতিয়ার প্রযুক্তি
কৌশিক আহমেদ

তথ্যপ্রযুক্তির সুফল নিয়ে প্রায়শই বলা হয়ে থাকেএতে সময় বাঁচে, খরচ কমে, সেবাপ্রাপ্তি সহজ হয়। তবে আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে আইনের শাসন তথা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি প্রতিরোধ, অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক আচরণে শৃঙ্খলা আনার ক্ষেত্রে। উন্নত দেশগুলোতে প্রযুক্তি কীভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলছে তার বহু উদাহরণ রয়েছে। যুক্তরাজ্যে কেউ যদি ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ করে, গাড়ি বেশি গতিতে চালায় বা রেড সিগন্যাল অমান্য করে তাহলে রাস্তায় বসানো অটোমেটিক নম্বর প্লেট রিডার ও সিসিটিভি ক্যামেরা সঙ্গে সঙ্গে সেটি শনাক্ত করে। চালককে দণ্ড বা জরিমানা পাঠানো হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। সেখানে অনিয়ম করার সুযোগ কম, কারণ প্রযুক্তির চোখ সার্বক্ষণিক খোলা থাকে। প্রযুক্তি মানুষকে নৈতিক আচরণে বাধ্য ও অভ্যস্ত করে। ২০১১ সালে...
ডিজিটাল বৈষম্য : যে বাধা দূর করতেই হবে
জুলফিকার নজরুল

আমরা এক নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ পেয়েছি। একে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু প্রযুক্তির প্রসার নয়-এটি নাগরিকের জীবনে মর্যাদা পাওয়ার লড়াইয়ের অংশ। সবার জন্য সেবা শুধু একটি নীতিবাক্য নয়, বরং এমন এক স্বপ্ন, যেখানে রাষ্ট্রের সেবা পৌঁছায় সেই সব হাতেও, যাদের কথা সমাজ প্রায়ই ভুলে যায়। নারী, বয়স্ক, প্রান্তিক কিংবা অক্ষম-প্রতিটি মানুষ যেন অনায়াসে, নির্ভয়ে ডিজিটাল সেবায় অংশ নিতে পারেন, সেটিই এই রূপান্তরের প্রকৃত পরীক্ষা। বাস্তবে এই সমতা প্রতিষ্ঠার পথ এখনো মসৃণ নয়। ডিজিটাল নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে ডিজিটাল ডিভাইড বা প্রযুক্তিগত বৈষম্য যেন আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এই বৈষম্য কমানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে শহর ও গ্রামের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারে রয়েছে চোখে পড়ার মতো পার্থক্য। শহরে যেখানে ইন্টারনেট...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর