এক দশকে শিক্ষাঙ্গনে বলি অন্তত ৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক দশকে শিক্ষাঙ্গনে বলি হয়েছে অন্তত ৫০ মেধাবি শিক্ষার্থী। বিচারহীনতার সংস্কৃতি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রহীনতা আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই শিক্ষার্থী হত্যার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনাগুলো বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা।

তাদের মতে, অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে বিচার সম্পন্ন করা হলে বন্ধ হতে পারে এ চিত্র। এ জন্য রাজনৈতিক দল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও রাখতে হবে জোরালো ভূমিকা।

 

শুধু আবরারই নয়, উচ্চ শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরো অনেকে। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও, দশবছরে অন্তর্কোন্দল এবং প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা গেছেন ৫০জনেরও বেশি। কিন্তু একটি হত্যাকাণ্ডেরও বিচার কার্যকর হয়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রাজনীতির আধুনিকায়ন ঘটেনি, রূপ নেয়নি প্রতিষ্ঠান হিসেবে।

তাই যারা তেলবাজির রাজনীতি করছে পুরস্কৃত হচ্ছেন তারা। আর ক্যাম্পাসে ঘটছে ন্যাক্কারজনক সব ঘটনা।  মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ায়, তাদের অপরাধ প্রবণতার লাগাম টানা যাচ্ছে না।  বিশ্লেষকদের মতে, দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করার মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলেই বন্ধ হতে পারে হত্যার বীভৎসতা।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও এবিষয়ে তৎপর হতে হবে মনে করেন তারা।